​শ্রীপুরে মারামারির ভিডিও করায় সাংবাদিককে মারধর!

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২১, ১০:৩৬

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে দু-পক্ষের মারামারির ভিডিও ধারণ করায় হামলার শিকার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪ এ কর্মরত সাংবাদিক মো. আল আমিন। গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) তিনি বাদী হয়ে শ্রীপুর চৌরাস্তা এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে ফয়সাল (২৫), ফয়সালের ভাই জাহিদ (৩০) ও শ্রীপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে সম্রাট (২৭)-কে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হামলার শিকার আল আমিন পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে।

 

থানায় দেয়া অভিযোগ ও আল আমিনের দেয়া বক্তব্যে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই (রোববার) সন্ধ্যায় শ্রীপুর চৌরাস্তা মাওনা রোডে মারামারি হচ্ছে- এমন খবরে তিনি সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান। সেখানে দু-পক্ষের মারামারির ভিডিও ধারন করতে থাকেন। এসময় একটি পক্ষের অভিযুক্তরা তাকে বেধরক মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা ধারালো দা দিয়ে আল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। উঠে দাঁড়ানোর পর আবারও মাথায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এসময় তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

 

পরে আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফিরে এলে আমিন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও করতে দেখেই ওই তিনজন তার দিকে তেড়ে আসে। পরে তাদের হাতে থাকা দা দিয়ে তাকে কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা থেমে না থেকে পরপর আঘাত করতে থাক।

 

আলামিনের চাচাতো ভাই হুমায়ূন কবির জানান, আল-আমীনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এমন হামলা। তার মাথা ও কানে মারাত্মক জখম হয়েছে। মাথায় ৮ টি ও কানে ২০ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের অভিভাবকরা জানান, মারামারি চলার সময় কে কোন পক্ষের লোক তা বুঝতে না পাড়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা হয়েছে।শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ যায়যায়দিনকে বলেন, ওই দিনের মারামারির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলোই তদন্ত চলছে। সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

যাযাদি/এসএইচ