চন্দনাইশে বেইলি ব্রীজটি পূর্ণতা পায়নি ৩৯ বছরেও

প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২১, ১৪:২৬

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চন্দনাইশ পৌরসভার আবদুল বারীহাট বেইলি ব্রীজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ অস্থায়ী ভাবে ১৯৮২ সালে নির্মাণ করলেও আজও পূর্ণাঙ্গ ব্রীজ হয়নি। ব্রীজের পাটাতন গুলো নষ্ট হলে দুইবার মেরামত করা হলেও পুনরায় জং ধরে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে,স্প্যানগুলো ও পুনরায় মরিচায় অকেজো হয়ে পড়েছে, নিচের পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে পড়েছে।

 

ব্রীজের পশ্চিম পাশে সড়কের সংযোগ স্থলে কার্পেটিং ও মেকাডম উঠে ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগ স্থল  এ ব্রীজটি দৈনন্দিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন।

 

ঝুকিপূর্ণ ব্রীজে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ভীত হয়ে পার হতে হয় যানবাহন। যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে অঘটন, বিপর্যস্ত হতে পারে জীবন।

স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটির কারণে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না ফলে এলাকাবাসীর কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।

 

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম ওই বেইলি ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা উল্লেখ করে জানান, এই ব্রীজ নির্মিত হলে কৃষিপণ্যসহ এত এলাকার প্রায় ৫/৬ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তাই তিনি পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা ও সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে ব্রীজটি পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

 

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বারবার জেলা পর্যায়ে সড়ক ও সেতুর ব্যাপারে জানালে সাবেক জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দীনের হস্তক্ষেপে ৯৬ লক্ষ টাকায় সড়কটি সংস্কার হলেও ব্রীজটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

যাযাদি/ এমডি