বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালমারীতে লকডাউনে জোর করে ঋণ আদায়ের অভিযোগ এনজিও’র বিরুদ্ধে

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  ২৯ জুলাই ২০২১, ১১:৫২

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে লকডাউনের মধ্যেও জোর করে ঋণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে টিএমএসএস নামের একটি এনজিও-র বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউন আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কথা থাকলেও উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামে অবস্থিত টিএমএসএস শাখা নামের এনজিও কর্মীরা ঋণ আদায় করছেন। এতে করে বিপাকে পড়ছে নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতাররা।

ছোটখাটো বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসার কার্যক্রম চালান। এছাড়াও অনেকে এনজিও থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক, অটোভ্যান, সিএনজি,নসিমন, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন যানবাহন কিনে চালিয়ে তা থেকে অর্জিত আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ও ঋণের কিস্তি দেন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় অনেক মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে এনজিওর ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা।

উপজেলার কমলেশ্বরদী গ্রামের আমির হোসেন নামের একজন মাহিন্দ্র ড্রাইভার টিএমএসএস এর সাতৈর শাখা থেকে ২ লক্ষ টাকার ঋণ গ্রহণ করে মাহিন্দ্র ক্রয় করেন। ওই ড্রাইভার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা কিস্তি দিচ্ছিলেন। তবে করোনাকালীন লকডাউনের কারণে মাহিন্দ্র চালাতে না পেরে সঠিকভাবে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন। কিস্তি না পেয়ে টিএমএসএস নামক এনজিও-র সাতৈর শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান ওই অসহায় লোকটির মাহিন্দ্র গাড়িটি গত ১১ জুলাই সাতৈর বাজারে আটকিয়ে রাখেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সুপারিশে গাড়িটি ছেঠে দেন।

এ বিষয়ে ওই শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হয়। সে সঠিকভাবে কিস্তি না দেওয়ার জন্য ওই সময় তার গাড়িটা সাতৈর বাজারে আটক করা হয়। তখন একটা শালিসের মাধ্যমে তার মাহিন্দ্র ছেড়ে দেওয়া হয় এবং কিস্তি দিতে না পারলে গাড়ি দিয়ে দিতে হবে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার লকডাউন দিয়েছে। চলমান লকডাউনে কোন প্রকার এনজিও ঋণ আদায় করতে পারবে না। এ সময় কোন এনজিও ঋণ আদায় করলে ঋণগ্রহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে