লক্ষ্মীপুরে করোনা ইউনিটের শয্যা খালি নেই

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:১০

সাইফুল ইসলাম স্বপন, লক্ষ্মীপুর

 

 

লক্ষ্মীপুরে করোনা ইউনিটের শয্যা খালি নেই, করোনা রোগীদের জন্য নতুন করে রেডি করা হচ্ছে আরেকটি ভবন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ৩০ শয্যার ভবনটিতে গত ১৫ দিন ধরে নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না সিট খালী না থাকায়। 

 

অন্যদিকে প্রতিদিন নতুন রের্কড নিয়ে শনাক্ত হচ্ছে করোনা রোগী। প্রতিবারই রের্কড ভাঙছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। আজ ও  করোনা রোগী শনাক্ত হয়েচে ১৭৪ জন। গতকাল শনাক্ত হয়েছে ২০৫ জন, তার আগের দিন ১৯৩ জন। গত ১১ দিনে লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৯১ জন।

 

এ দিকে লক্ষ্মীপুরে যে হারে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে,  সেভাবে করোনা টেস্টের সংখ্যা কম। অনেকে করোনা রোগী করোনার সেম্পল দিতে এসে ফেরত যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতলে একটি বুথে একজন লোক দিয়ে প্রতিদিন ১২০/১৩০ বেশি সেম্পল নেওয়া সম্ভব হয় না। করোনার সেম্পল নেওয়ার পর এগুলোকে এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয় সদর হাসপাতালে। তারপর নেগেটিভ গুলো নোয়াখালী পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।

 

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ উল্ল্যা জানান, জনবল কম থাকায় তাদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বেশি সেম্পল নেওয়া যাচ্ছে না।

 

সদর হাসপাতালে করোনা সেম্পলের জন্য ৩ টি বুথে ৩ জন লোক দিয়ে কালেকশন করলে এবং ল্যাবে জনবল বৃদ্ধি করলে ৪/৫ শত কালেকশন সম্ভব।

 

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখানে রোগীর চাপ বেশি, এখানে ডাক্তার সংকটের পাশাপাশি ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নাই বললেই চলে।  দ্রুত সরকারি ভাবে ডাক্তার নার্সের পাশাপাশি সহায়ক জনবল দরকার।

 

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল বলেন, লক্ষ্মীপুরে যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে, করোনা  রোগী নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান সময়ের চেয়ে ৪/৫ গুন বেশি সেম্পল কালেকশন করা দরকার, নোয়াখালীতে ও রোগীর চাপ বেশি, এজন্য লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনা টেস্টের জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা জরুরী। আর না হলে লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

 

লক্ষ্মীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল গাফপার বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধ পাওয়ায় সেন্টাল অক্সিজেন  প্লান্টপট পাশের আরেকটি ভবনে ৫০ বেডের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। যা এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।

 

লক্ষ্মীপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, জেলায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে যাতে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয় সেজন্য আমি স্বাস্থ্যামন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছি।

 

যাযাদি/ এমডি