শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিনুকে জেল খাটানো কুলসুম পুলিশের জালে

চট্টগ্রাম অফিস
  ২৯ জুলাই ২০২১, ১৮:০৮

একটি হত্যা মামলায় নিজের পরিবর্তে মিনু আক্তার মিনুকে জেল খাটানো সেই গার্মেন্টস কন্যা কুলসুম আক্তার কুলসুমী অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে।

বৃহ¯পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে কুলসুম আক্তারকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তার বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের বাড়ি।

কোতোয়ালী ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কুলসুম আক্তারকে বৃহ¯পতিবার ভোরে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে হত্যা মামলায় আদালত কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড দেন। তার পরিবর্তে কৌশলে কুলসুম আক্তার পরিচয়ে মিনুকে আদালতে আত্নসমর্পণ করানো হয়। আদালত মিনুকে জেলে প্রেরণ করেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘ ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন কারাভোগ করেন মিনু। বিষয়টি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন। এরপর মিনু আদালতে জবানবন্দী দেন যে, তিনি মিনু, কুলসুমী নন। কুলসুমীকে তিনি চিনেন না। এক নারী তাকে চাল, ডাল দেবে বলে আদালতে আনেন। কুলসুমী পরিচয় দিতে বলেন। বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে।

পরে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। নথিপত্র তলবের পর গত ২২ মার্চ অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মিনুকে হাজির করা হলে তার জামিন হয়। জামিনের পর গত ২৮ জুন ভোররাতে নগরীর বায়েজীদ লিংক রোডে ট্রাক চাপায় মারা যান মিনু আক্তার। বর্তমানে তার তিন সন্তান রয়েছে। মিনুর স্বামীও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান অনেক আগে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম মহানগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় কোহিনুর আক্তার বেবী নামে এক নারী খুন হন। এ মামলায় গ্রেফতার হন কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমী। ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী কুলসুমী জামিন পান। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ কুলসুমীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। রায়ের দিন আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১২ জুন মিনুকে কুলসুমী সাজিয়ে আদালতে আত্নসমর্পণ করা হয়। সেদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে