বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

​ চট্টগ্রামেও শনাক্ত হলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস

চট্টগ্রাম অফিস
  ২৯ জুলাই ২০২১, ১৮:১৮

চট্টগ্রামেও এক নারীর দেহে শনাক্ত হলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস (কালো ছত্রাক)। আক্রান্ত নারী ৫০ বছর বয়সী। তিনি পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (২৮ জুলাই) দিনগত রাতে বিষয়টি জানান চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা আমরা পর্যবেক্ষণ করবো, পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আমরা কী করবো। প্রয়োজনে রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় গত ২৪ জুলাই এই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে তার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। এর আগে গত ৩ জুলাই করোনা আক্রান্ত হলেও ১৫ জুলাই পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা নেগেটিভ আসে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেশে আগেই শনাক্ত হয়েছিল। গোবরে, আকাশে, বাতাসে ছত্রাকটি আছে। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন স্থান থেকেও এটা হতে পারে। খুবই ছোঁয়াচে একটা রোগ এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যুহার ৫০ থেকে ৫৪ শতাংশ। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

এক্ষেত্রে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। আইসিইউতে এই ওষুধ বেশি ব্যবহার হয়। এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সার রোগী, কিডনি রোগী ও এইডস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। করোনার আক্রান্ত রোগীর ওপর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বেশি প্রয়োগ করা হয়। তাই করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বাড়ে সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে সর্বপ্রথম ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ছত্রাকটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও রোগটি পাওয়া যায়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে