বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

​ খুলনায় মানছে না বিধিনিষেধ

খুলনা অফিস
  ৩০ জুলাই ২০২১, ১৮:০১

অদৃশ্য বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণের ক্রমাগত ভাবে মৃত্যুর মিছিল আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সরকার হার্ড লাইনে থাকলেও স্বাস্থ্য বিধি মানছে না সাধারণ মানুষ। অথচ খুলনা নগরীর পাঁচটি করোনা হাসপাতালে সরজমিনে গেলেই শোনা যায় স্বজন হারানো হৃদয়বিদারক আহাজারি।

আজ সকালে খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মরণব্যাধি করোনার মৃত্যুর গ্রাসে হারিয়ে যাওয়া ফুলতলা উপজেলার শিখা দাসের একমাত্র সন্তান তিতাস দাস (১১) এর মাতৃ হারা বেদনার কান্নায় হাসপাতাল এলাকার আকাশ-বাতাস যেন নিস্তব্ধ। এই ভাবে প্রতিনিয়ত অসংখ্য নিষ্প্রাণ নিথর দেহ স্বামী, সন্তান স্ত্রীর হাতে তুলে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অথচ খুলনা শহরের সড়ক গুলোতে একমাত্র দূরপাল্লার গণপরিবহণ ব্যাতীত দাপিয়ে বেড়াছে, ইজি বাইক, মাহেন্দ্র, রিক্সা মটর সাইকেল। পাশাপাশি সাধারণ জনগণের চলাচল নজরে পড়ার মতো।

অধিকাংশ পথচারীদের মুখে মাস্কবিহীন ভাবে অবাদে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এমন একজন মাস্কবিহীন নগরীর বাইতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুকুমার সরকারকে (৪৮) বড় বাজারের মতো জনসমাগম এলাকায় আপনি মাস্ক ছাড়া এসেছেন এতের আপনা স্বাস্থ্য জীবন ঝুঁকি রয়েছে। সুকুমার সরকার যায়যায়দিকে মাস্ক পকেটে থাকার ওজুহাত দিয়ে বলে মাস্ক পড়তে ভুলে গেছি। পাশাপাশি নগরীর সিমেট্রি রোড থেকে শুরু করে ডাকাবাংলা মোড়, পিকচারপ্যালেস মোড়, ক্লে রোড শংখ মার্কেট এলাকাগুলির প্রতিটা মার্কের্টের দোকানীরা চলোমান কঠোর বিধি নিষেধকে অমান্য করে মাহামারী করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে গিয়ে প্রতিনিয়ত চোর পুলিশ খেলে দোকানে সার্টার অর্ধনমিত রেখে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচা কেনা করছে।

তবে শুকবার সকাল ১১ টার দিকে নগরীর পিকচারপ্যালেস সংলগ্ন আশা ইলেকট্রনিক্স সাগর ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের ছয় জন দোকানদারকে খুলনা সদর থানার এস আই টিপুসুলতান এস আই প্রশান্ত কর্তৃক আটক করে থানা হাজতে প্রেরণ করে।

এস আই টিপুসুলতান যায়যায়দিনকে বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করা শর্তেও দোকান খুলে ক্রেতা ঢুকিয়ে পণ্য বিক্রি করার কারণে এদেরকে আটক করে থানায় পাঠিয়েছি। খুলনা

জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকিদার বলেন, প্রতিদিনে মোবাইল কোর্ট করলে তারা ফাকি দিয়ে চলছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে তবে না করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব।

এছাড়া প্রতিটি পাড়া মহল্লা গুলোতে আড্ডাবাজদের আড্ডার অন্ত নেই। মহল্লাগুলোর প্রতিটা চায়ের দোকানে একত্রে একাধিক সংখ্যক মানুষ সামাজিক দূরাত্ব স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাস মেনে দীর্ঘ সময় ধরে চায়ের দোকানে আড্ডা জমাতে দেখা যায়। পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে সংঘবদ্ধ ভাবে জটলা বেঁধে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা জমাচ্ছে। নগরীর টিবি বাউন্ডারী ৪৭ নং রোডের জনৈক বাড়িওয়ালা মোঃ কাওছার মোল্লা গণমাধ্যম কর্মীদের বলে সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ জারি করার শুরু থেকেই এলাকার প্রতিটি অলিতে গলিতেই আড্ডাবাজরা আড্ডা দিচ্ছে প্রকাশ্যে ধূমপান করছে।

এতে করে পরিবেশ দূষণ হওয়ার কারণে আমরা এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। মাঝে মাঝে এলাকায় পুলিশের গাড়ি ঢোঁকার শব্দ পেলে ওরা বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে। পাশাপাশি আলকাতরা মিল এলাকার বাসিন্দা মহসিন মিয়া (৫৫) অভিযোগ করে যায়যায়দিনকে জানান, আড্ডাবাজদের কারণে আমাদের এলাকায় ছিচকে চোরের উপদ্রব বেড়েছে।

তবে এই বিষয়টি আমরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিয়েছি এবং থানা কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে আমাদের।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে