বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

​মির্জাগঞ্জে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৪৩

এ বছর আবহাওয়া আউশ চাষের অনুকূলে থাকায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আউশ ধানের ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরা আবহাওয়া অনুকূলে পেয়ে প্রচুর আউশ ধান চাষ করেছে। ফলে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে আউশের আবাদ হয়েছে বেশি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ এলাকায় এ বছর আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল উফশী ৬ হাজার ৪’শত হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে।এছাড়া ৫০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আউশ চাষাবাদ হয়েছে। আবাদের পর আউশ খেতে পোকার আক্রমন দেখা দেয়নি। ফলে কৃষকরা ফলন পেয়েছে অশাতীত। কৃষকরা আউশ ধান কাটা এবং ঘরে তোলা শুরু করেছে ৪/৫ সপ্তাহ আগে থেকে। কৃষি বিভাগ আরও জানায় এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতে আউশের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ফসল কর্তন কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। কৃষকরা আউশ ধান কেটে এনে তা তাদের ঘরের বারান্দায় কিংবা আঙ্গিনায় পালা দেয়। বর্তমানে এ অঞ্চলে মাড়াই কলের ব্যাপক প্রসাতরা ঘটায় এখন কৃষকরা তা ঐ কলের মাধ্যমেই মাড়াই করে। পরে কৃষানবধু এগুলো চালুনি-কুলা দিয়ে চিটা ধান পৃথক করে নেয়। প্রতিটি কৃষক পরিবারের ঘরে ঘরে আউশ ধান তোলার ধুম পড়েছে। এ অঞ্চলে আউশ ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। এদিকে এলাকার হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর আউশ ধান উঠছে। প্রতি মন ধান ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আউশ ধান কাটা ও ঘরে তোলার পাশাপাশি চলছে আমন রোপনের পালা। কৃষান-কৃষানিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

উপজেলার কিসমত ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল গনি মিয়া বলেন, এবার আউশের চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি এবং মাড়াই অবস্থায় মন প্রতি দামও পেয়েছি ভালো।

উজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এবার মির্জাগঞ্জে আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ৪ মেট্রিকটনের বেশি ধান। তবে কৃষকরা গতানুগতিক জাতগুলো বর্জন করে যদি সর্বত্র ব্রি ধান- ৪৮, ৮২ ও ৯৮ এরমত আধুনিক ও উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো আবাদ করে তাহলে হেক্টর প্রতি আরো দশমিক ৫ থেকে ১ মেট্রিকটন ফলন বেশি পাবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে