বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

​বরিশালে হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ, চারজনের যাবজ্জীবন

বরিশাল অফিস
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫১

বরিশালে কলেজছাত্র সোহাগ সেরনিয়াবাত হত্যা মামলার রায়ে দুজনের ফাঁসি এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক টি এম মুসা এই রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেনÑ জিয়াউল হক লালন ও রিয়াদ সরদার। এছাড়া আসামি মামুন, ইমরান, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের মো. হোসেন সেরনিয়াবাতের ছেলে সোহাগ সেরনিয়াবাত ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বন্ধুকে বাসায় এগিয়ে দিয়ে ফেরার পথে আসামিরা উজিরপুরের রাখালতলা এলাকায় তার ওপর চড়াও হয়ে রামদা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

এর আগে আসামিরা ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নিহত সোহাগের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। পরে নিহতের মামা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২২ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলাটি বিচারে এলে আদালত ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, প্রমাণ ও আলামত বিবেচনায় আসামি জিয়াউল হক লালন ও রিয়াদ সরদারকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া আসামি মামুন, ইমরান, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। নিহতের পিতা ফারুক হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে যারা বেকসুর খালাস পেয়েছেন তারাও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ আদেশ কপি পেলে তা নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে উচ্চ আদালত তাদের শাস্তি দিবেন। নিহতের মা শাহনাজ পারভীন বলেন, রায়ে খুশি হয়েছি। তবে খালাসপ্রাপ্ত ১০ জনের সাজা দিলে আরও ভালো হতো। তারাও আমার ছেলের হত্যায় জড়িত ছিল। বাদী পক্ষের আইনজীবী এটিএম আনিসুর রহমান বলেন, অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে, যা এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে