​কর্ণফুলীতে হাতি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত এলাকাবাসীর!

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫২

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান করা হাতির তান্ডবে পাহাড়ের আশপাশে দুই উপজেলার মানুষের মাঝে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে হাতির দলটি লোকালয়ে এসে হামলা,ভাঙচুর ও ফসলের ক্ষতি করছে। গত ৪ বছরে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় ৯ জনের প্রাণহানিসহ অর্ধশতাধিক লোকের আহতের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ভোরে বড়উঠান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালাফকির বাড়ি এলাকার কৃষক মোহাম্মদ এলাবক্সা ও মোহাম্মদ আবছারের ঘর ভাঙচুর, ফসলি ধান নষ্ট ও কবরস্থানের দেওয়াল ভাঙচুর করেছে। এসময় আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা বসিয়ে রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।

 

স্থানীয়রা সূত্রে আরো জানা যায়, বাঁশখালীর পাহাড় থেকে একটি হাতির দল গত ৪ বছর ধরে দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান নেয়। খাদ্যের সন্ধ্যানে হাতি গুলো সন্ধ্যা হলেই আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের কবিরের দোকান, পশ্চিমচাল, কান্তিরহাট, বটতলী ইউনিয়নের জয়নগর, ছিরাবটতলী, গুচ্ছগ্রাম, জয়নালপাড়া, বৈরাগ ইউনিয়নের দেয়াং বাজার, উত্তর গুয়াপঞ্চক, মধ্যম গুয়াপঞ্চক, খাঁনবাড়ী, মোহাম্মদপুর, বদলপুরা, বন্দর, বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামে এবং কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানের খিলপাড়া, খতিবপাড়া, মাইজপাড়া, দৌলতপুর, দক্ষিণ শাহমীরপুর এলাকায় লোকালয়ে প্রবেশ করে বাড়ী-ঘর ভাঙচুর চালিয়ে ফসল নষ্ট করে থাকে। গত ৪ বছরে হাতির আক্রমণে ৯ জনের প্রাণহানিসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে এলাকার লোকজন সারা রাত মশাল জ্বালিয়ে পাহারায় বসে। স্থানীয়দের অভিযোগ এত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির পরও বন বিভাগ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।

 

বড়উঠান ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জানান, কয়েক বছর ধরে  দেয়াং পাহড়ে অবস্থান নেওয়া বন্যহাতির দলটি খাবারের  খোঁজে লোকালয়ে এসে কৃষকের ধান, বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নষ্টসহ বসত বাড়ি ভাঙচুর চালায়। হাতির ভয়ে এখন রাতের ঘুম চলে গেছে এলাকাবাসীর। এবিষয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

 

কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা জানান, হাতির আক্রমণে কর্ণফুলীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি বনবিভাগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

যাযাদি/ এস