​পেটে আড়াই কেজি টিউমার রেখেই সিজারিয়ান অপারেশন!

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৩৯

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

 

পেটে আড়াই কেজি ওজনের টিউমার রেখেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে রোগীকে মুমূর্ষু করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার ডাঃ আবুল হোসেনের মালিকানাধীন আলহেরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। 

 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় বাদী হয়ে পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে তিনি জানান, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গত ২৫ আগষ্ট আলহেরা হাসপাতালে আসেন তিনি । সেখানে তার স্ত্রীকে একাধিকবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর ৬০'হাজার টাকার বিনিময়ে সিজারিয়ান অপারেশনের চুক্তি হয়। পরে রাত সোয়া আটটার দিকে অপারেশনের মাধ্যমে তার স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু অপারেশন শেষে রুম থেকে ডাক্তার বের হয়ে তার স্ত্রীর পেটে আড়াই কেজি ওজনের টিউমার রয়েছে বলে জানান।

 

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, এতোবার পরীক্ষার পরও টিউমার রেখেই সিজারিয়ান অপারেশনের বিষয়ে জানতে গেলে ডাঃ আবুল হোসেন বিভিন্ন তালবাহানা মূলক আচরণ শুরু করে। টিউমারের কথা গোপন রেখে অপারেশনের কারণ জানতে চাইলে আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে আমার স্ত্রীর অপারেশনের স্থান না শুকিয়ে পচনশীল অবস্থায় পৌঁছেছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়তই পানি ঝরছে। টিউমারের কথা জেনেও অর্থের লোভে আমাকে আগে না জানিয়ে অপারেশন করেছেন ডাঃ আবুল হোসেন । এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজনে আলহেরা হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডাঃ আবুল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে হাসপাতালটির ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, রোগীর স্বজনদেরকে অপমানিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর অপারেশনের বিষয়ে ডাক্তার ভালো করে বলতে পারবে।

 

শ্রীপুর থানার কর্তব্যরত অফিসার এস.আই শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভূষণ দাস যায়যায়দিনকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা অবগত হয়েছি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত পরে জানাতো পারবো।

 

যাযাদি/ এস