বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

​ পাবনায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা, দুই পারে আনন্দমেলা

পাবনা প্রতিনিধি
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৪

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল স্মৃতি স্মরণে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ইছামতি নদীতে শুরু হয়েছে ১০দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

সাঁথিয়া পৌর সভার উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকালে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।

জেলা ও জেলার বাহির থেকে প্রায় ২০টি নৌকা এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নৌকা বাইচ আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূল অনুষঙ্গ। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এতে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পান। ধারাবাহিক রক্ষা করে প্রতি বছরই ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচ আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকার ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, যার স্মরণে আজকের এই আয়োজন তিনি বেঁচে থাকলে দেশ আরও উন্নত শিখড়ে পৌছে যেত। সমৃদ্ধ হতো দেশের রাজনৈতিা অর্থনৈতিক অঙ্গন। যদিও তিনি আমাদের মাঝে নেই তবুও কোটি মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নিয়েছে তার দর্শন।

আয়োজকরা জানান, বর্ষার শেষ দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রতিবছরই এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে করোনা মহামারির কারণে গত বছর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখি হওয়ায় ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে এবারের এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছন সাঁথিয়া পৌরসভা।

আর এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে স্থানীয়রাসহ আশে পাশের গ্রাম ও জেলার সাধারণ মানুষ এসেছেন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১০টি নৌকা ও জেলার বাহির থেকে আরও ১০টি নৌকা এই প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করেছে।

ছন্দের তালে বাহারি পোষাকে গানের তালে নৌকা নিয়ে আসে প্রতিযোগিরা। শুধু জেলার মধ্যেই নয় তারা বাহিরের জেলাতেই অংশ গ্রহণ করে থাকেন। প্রতিটি নৌকাতে ৬০জন করে মাল্লার ও দুইজন ছন্দের লোক একজন মাঝি দোয়া কালমা পরে উঠে পরেন নৌকাতে। দুপুর থেকে তারা নদীতে নৌকা নিয়ে দর্শকদের আনান্দ দিতে থাকেন। নদীর পূর্ব পারে প্রায় দুই কিঃমিঃ দূর থেকে পশ্চিশ পারের মঞ্চ প্রাঙ্গণে আসতে হয় প্রতিটি নৌকাকে।

উদ্বোধনী বাইচে ভাই ভাই এক্সপ্রেস বনাম সরদার এক্সপ্রেস অংশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে হুইখালী এক্সপ্রেস বনাম বাগচী চ্যালেঞ্জার, পরে ইছামতি এক্সপ্রেস বনাম সলঙ্গি এক্সপ্রেস এবং প্রথম দিনের শেষে সমযে মায়ের দোয়া এক্সপ্রেস বনাম শেরে বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে চাটমোহর, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুর, সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলা নৌকা রয়েছে।

এছাড়া জেলার বাহিরে সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, নাটোর, রাজবাড়ি, কুষ্টিয় থেকে বাইচ এর নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।

প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পয়েন্ট ভিত্তিক এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আগামী ২৮ সেপ্টেম্ব সমাপ্ত হবে।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে