ভাঙ্গা সাঁকোয় লাখ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ, নীরব কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪৩

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে বেলান নদীর গতিপথ বন্ধ করে নির্মিত বিকল্প রাস্তা বৃষ্টির চাপে ভেঙ্গে যাওয়ার পর দায়সারা ভাবে তৈরিকৃত সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় ১ লাখ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি ও দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনগণ। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। প্রায় মাস খানেক হতে সেই সাঁকো সংস্কারের বিষয়ে অন্ধ ও বধির আচরণ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

 

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, এলজিইডি এর বাস্তবায়নে বন্যা ও দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক অবকাঠামো পূনবার্সন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকেরহাট টু খানসামা সড়কে বেলান নদীর ওপর ৩৫ মিটার গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্ষার আগে ব্রীজের কাজ শেষ করবে মর্মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যানবাহন ও পথচারীদের যাতায়াতে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় পানি পারাপারে রিং বসানো হয়েছিল। সেটিও পানি প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। পরে সেই রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পানির চাপে সেই সাঁকোর দু'পার ভেঙ্গে পড়েছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ওপর নির্মিত বিকল্প রাস্তার মাঝে দায়সারা ভাবে ছোট একটি সাঁকো দেয়া হয়েছে। যা নির্মাণের কয়েকদিনের মাথায় ভেঙে পড়ে। ফলে পথচারী, সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যান গাড়ী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। এতে করে প্রায় সময়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন। আর ইন্জিন চালিত যানবাহন গুলো প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে পাকেরহাট জাকির মার্কেট হয়ে নিউ পাকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মোড় দিয়ে ভান্ডারদহ, বালাডাঙ্গী, ডাঙ্গপাড়া, খামারপাড়া, হোসেনপুর, সহজপুর ও খানসামাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় যাচ্ছেন।

 

কযেকজন পথচারী ও ভ্যান চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মধ্যে পাকেরহাট একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাট। এখানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থিত। হাটে প্রতিনিয়ত কাঁচামাল সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা-বেচার জন্য উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসতে হয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে স্থায়ীভাবে কিছু না করে দায়সারা ভাবে ছোট একটি সাঁকো তৈরি করে দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আবার সেই সাঁকোটিও ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।

 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম.এস বসুন্ধরার ম্যানেজার তাপস কুমার মনা মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমরা দেখতেছি। ২/৩ দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সাঁকোটি সংস্কার করা হবে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, পানির গতি প্রবাহ বন্ধ না করে বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাঠের সাঁকো পুনঃনির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

যাযাদি/ এস