সখীপুরে শিক্ষককে হত্যার হুমকি
প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৩৭
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক শিক্ষককে মোবাইল ফোনে পরিবারসহ অপহরণ ও অব্যাহতভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। হুমকিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ব্রেনস্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই শিক্ষক।
গত ৪০ দিন ধরে সন্ত্রাসীরা নিয়মিত ফোন করে তার কাছে সাত লাখ টাকা দাবি করছে। ওই শিক্ষক ফজলুল হক শিকদার (৪৮) উপজেলার প্রতিমা বংকী ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার গনিত বিষয়ের শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার ৪০দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
এদিকে অব্যাহত হুমকির মুখে ওই পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে । নিরাপত্তার অভাবে ওই শিক্ষকের দুই সন্তান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া দূরের কথা বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে হুমকি অব্যাহত থাকায় শিক্ষক ফজলুল হক ব্রেনস্ট্রোক করে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপরও সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়েই যাচ্ছে।
ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্য ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে শিক্ষক ফজলুল হকের কাছে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। টাকা দেওয়া না হলে ওই শিক্ষক ও তার ছেলে শাহরিয়ার হক তূর্যকে অপহরণের পর হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। পরের দিন ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে সখীপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে সন্ত্রাসীরা গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওই শিক্ষকের থাকার ঘরের সামনে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দিয়ে যায়। এ ছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ির একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। এসব ঘটনায় ওই পরিবারের সদস্যরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শরীরের একপাশ অবশ হয়ে শিক্ষক ফজলুল হক হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে রয়েছেন।
শিক্ষক ফজলুল হকের ভাতিজা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত বৃহস্পতিবারও হুমকির ফোন এসেছে। তাঁদের নাকি ২০জনের একটি দল রয়েছে, ওই দলের খরচের জন্যে টাকা প্রয়োজন বলে সন্ত্রাসীরা দাবি করে। কারা এবং কী কারণে আমাদের এ হুমকি দিচ্ছে তা জানি না। তাদের উদ্দেশ্য কী, কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করতে গিয়ে মোবাইলের কললিস্ট ধরে আমরা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাবাদ করেছি। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই অধিকতর তদন্তের স্বার্থে অভিযোগটি ডিবিতে হস্তান্তর করবো। সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে।
যাযাদি/ এমডি