তিন বছর ধরে পরকিয়া, এখন বিয়ের দাবীতে অনশন

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৩৮

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

 

 

তিন বছর ধরে আমার সাথে প্রেম করেছো। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছো। প্রায় রাতে গোপনে আমার ঘরে এসেছো। এখন কেন বিয়ে করবেনা। বিয়ে আমাকে তোমার করতেই হবে।

 

রোববার ২৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার দাড়িগাছা গ্রামে পরকিয়ার পর বিয়ের দাবীতে অনশনরত অবস্থায় এসব কথা বলছেন জাহানারা বেগম  (২৫) নামে এক নারী। সে ওই গ্রামের এমাদাদুল হকের স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী।

 

জাহানারা জানায়, স্বামী ব্যাবসা করার সুবাদে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো পাশের বাড়ীর আবদুল লতিফের ছেলে আবু তালেব (২৩)। সে অনার্স পাশ করার পর তার স্বামীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং ব্যাবসাও করে। তালেব অবিবাহিত। এভাবে সময়ে অসময়ে বাড়িতে যাতায়াতের এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দিনে দিনে এ সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে পরিনত হয় এবং বেশীরভাগ দিনে স্বামী ব্যাবসায়িক কাজে বাইরে থাকায় প্রায় রাতেই প্রেমিক তালেব তার সাথে রাত্রীযাপন করে। এছাড়াও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিযে গিয়ে তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করেছে। এমনকি গত তিনদিন ধরে তার ঘরে রাত্রীযাপন করেছে।   কিন্তু এখন বিয়ে করার কথা বললে সে আজ গা ঢাকা দিয়েছে। তাই তাকে বিয়ে এখন করতেই হবে।

 

এছাড়া তিনি আরও বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে  তার বিয়ে হলেও স্বামীর সাথে আত্মতৃপ্তিতে সংসার করতে পারেনি। তাই সে গোপনে  প্রেম করেছে।। যা বান্ধবীরা জানলেও অন্য কেউ জানতো না।

 

তবে অনশনের এ সময় প্রেমিক তালেব এবং তার পরিবারের কাউকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তবে তালেবের দুলাভাই জালাল জানান, এসব কথা এলাকার অনেকেই বলাবলি করছে। যদি সত্যি হয় তাহলে দুজনের বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

 

এ সম্পর্কে  স্থানীয় খরনা ইউপি সদস্য তোতা মিয়া বলেন,  সমাজের সকলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

যাযাদি/ এস