বোয়ালমারীতে স্কুলছাত্রের কাঁধে সংসারের দায়িত্ব

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫০

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

 

 

বাবা অসুস্থ, সংসার চলে না। তাই সংসারের হাল ধরেছে স্কুল ছাত্র রিয়াজ। এই বয়সে অন্য পাঁচটি  সাধারণ ছেলের মত খেলা ও পড়ার বয়স, কিন্তু ছাত্র বয়সেই এখন সে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী  উপজেলার ময়না ফুটবল খেলার মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন বিকেলে সে ভ্যানে করে ঝাল মুড়ির পাশাপাশি, চটপটি, ফুসকা, আমড়া ও বাদাম বিক্রি করে। প্রতিদিন বিকালে খেলতে আসা ও ঘুরতে আসা পথচারীরাই তার দোকানের ক্রেতা।

 

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামে মঞ্জুর প্রামানিকের বড় ছেলে রিয়াজ উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না এ সি বোস ইনস্টিটিউশনের মানবিক বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। বয়স পনেরোর কোঠায়। দরিদ্রের কষাঘাতে  রিয়াজ এখন বাবার ব্যবসার হাল ধরেছে। রিয়াজের বাবা মঞ্জুর প্রামানিক ছিলেন দীর্ঘ ১৫  বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। হটাৎ পিতা অসুস্থ হওয়ার জন্য সংসারের হাল ধরতে হয়েছে রিয়াজকে। বাধ্য হয়ে গত বছর থেকে রিয়াজকে বাবার ব্যবসা চালিয়ে নিতে হচ্ছে ।

 

রিয়াজের বাবা মঞ্জুর প্রামাণিক বলেন, বাড়ির বসবাসের ভিটাটুকুই সম্বল।পরিবারের ৬ সদস্য। তাদের নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি অসুস্থ তাই বাধ্য হয়ে রিয়াজ সংসারের হাল ধরেছে।তিনি আরো বলেন, ঝাল মুড়ির ব্যবসায় অনেক কষ্টে চলে ৬ সদস্যের সংসার।  সন্তানদের মধ্যে সবার বড় রিয়াজ। ঘরে অসুস্থ মা। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রিয়াজকে ঝাল মুড়ির ব্যবসায় আসতে হয়েছে।

 

রিয়াজ বলেন, ‘করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় ঝামমুড়ির ব্যবসা চালিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন স্কুল খোলা, তাই সমস্যা হচ্ছে । প্রতিদিন স্কুল, প্রাইভেট, দোকান চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  তাই বাধ্য হয়ে  প্রতিদিন বিকেলে দোকান চালাই।

 

ময়না গ্রামের ছবুর মোল্লা বলেন, রিয়াজ খুব ভদ্র ছেলে, সে সংগ্রাম করে পড়ালেখা করছে। এই বয়সে সংসারের হাল ধরেছে যদি কোন সুযোগ সুবিধা পেত তাহলে  ঠিক মত পড়ালেখা করতে পারতো ।

 

যাযাদি/এসআই