বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

​যুবদল নেতা সোহেল সামাদের দাবি তার বিরুদ্ধে বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:০২

যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগকে বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা শাখার যুবদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সোহেল সামাদ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের প্রচারণা সবৈব মিথ্যা এবং আমার ইমেজ ম্লান করার হীন প্রচেষ্টা মাত্র।’

সোহেল সামাদ বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শে অনুপ্রাণিত একজন রাজনৈতিক কর্মী। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একজন অকুতোভয় সৈনিক। আমি কোনো দিনই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি আওয়ামী কোনো সংগঠনের কোনো পদে ছিলাম বা আছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না, এটি আমার চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আমি সামনে থেকে লড়াই করেছি, কোনো দিন পিছপা হইনি। এ কারণে ২০১৩ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আমাকে মামলার আসামি করা হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা চলাকালে আমাকে গ্রেপ্তার করার পর দুটি গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। এরপর আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’

সোহেল সামাদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেই ছবি, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা এবং একটি জাতীয় দৈনিকে যে বানোয়াট খবর প্রকাশ করে যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা এবং গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ । ওই ছবির বাস্তবতা হলো, পীর কাশিমপুর কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল, যার পৃষ্ঠপোষকদের একজন ছিলাম আমি। এখানে গ্রামের দলমত নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করেন, ওই এলাকায় জন্মগ্রহণ করা দেশের অনেক বড় সম্মানিতজনেরাও অনুষ্ঠানে ছিলেন। এটা কোনো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। তাই ওই খেলা আয়োজন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি।

সোহেল সামাদ বলেন, আমি মাদকবিরোধী এবং ফুটবল প্রিয় মানুষ। ফুটবল খেলা যেখানেই আয়োজন করা হোক, রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে পীর কাশিমপুরের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব এবং পৃষ্ঠপোষকতা করার চেষ্টা করি, যা এলাকার সবাই জানে। একসময় আমি মাদকবিরোধী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চেয়েছিলাম পীর কাশিমপুর গ্রামে, সেই অনুষ্ঠান আমি করতে পারি নাই, কারণ আমি বিএনপির কর্মী বিধায় কিছুসংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এমপি বাধা দিয়েছিলেন। আমি এখনও গ্রামে গেলে রাতের বেলায় ঘরে ঘুমাতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘আমার নেতা মুরাদনগরের গণমানুষের প্রাণের স্পন্দন জনাব আলহাজ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদা ভাই যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন মুরাদনগরের কোনো অপশক্তির ঠাঁই নাই ইনশাল্লাহ। যারা ২০০১ এবং ২০০৮ সালের ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পাম করার চেষ্টা করেছিল, তারাই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় যুবদল কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মুরাদনগর উপজেলা শাখার ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে আহ্বায়ক করায়, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে আমার ইমেজ নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।’

তিনি বলেন, ‘যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে শুধু কারাভোগ এবং মামলায় জর্জরিত পরীক্ষিত কর্মীদেরই স্থান পাওয়ায় ওই স্বার্থান্বেষী মহল রাগে, ক্ষোভে বিভিন্ন প্রোপাগন্ডা ও অপ্রচার চালাচ্ছে, অত্যন্ত নিন্দনীয় ও মানহানিকর।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে