বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওসমানীনগরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা

ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি
  ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৪:১৯

আগামী ১১ অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা। পূজাকে ঘিরে সিলেটের ওসমানীনগরে প্রতিমার গায়ে তুলি শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। এবার প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি অনেক পূজামন্ডপে চলছে সাজসজ্জার বর্ণিল আয়োজন। প্রতিমার সৌন্দর্য্যতা চাকচিক্য নিয়ে বিভিন্ন পূজামন্ডপের মধ্যে চলছে নিরব প্রতিযোগিতা। ওসমানীনগরে এ বছর ৩৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে সার্বজনীন ২৮টি ও ব্যক্তিগত ৭টি।

ওসমানীনগরে প্রতিবারই প্রতিমা তৈরিতে দেখা যায় নতুনত্ব ও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মন্ডপের সাজসজ্জাতেও রয়েছে নানা চমক। যশোর থেকে প্রতিমা তৈরী করতে এসেছেন কারুশিল্পী বলরাম আচার্য্য। তার সাথে এবার সহযোগী রয়েছেন পাঁচজন। রাতদিন পরিশ্রম করে তৈরি করছেন দুর্গা, লক্ষী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, অসুর, মহিষ, সিংহের মৃন্ময় মূর্তি।

তিনি বলেন, কোন কোন মন্ডপে দেবী দুর্গার এবারের আগমন ও গমনের প্রতিকী ঘটনাসহ পৌরাণিক কাহিনীকে নানা আদলে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেবদেবীর প্রতিমা পাশাপাশি পৌরাণিক নানা চরিত্রের মূর্তি দিয়েও সাজিয়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে। বিদ্যুতের সাহায্যে দেখানো হবে দেবরাজ্যের নানা কল্প কাহিনী।

উপজেলার বৃহৎ পূজা মন্ডপ সিদ্ধেশ্বরী সেবা সংঘের পূজা কমিটির সভাপতি উত্তম দেবনাথ জানান, আশা করা যাচ্ছে প্রতিবারের মতো এবারও সপ্তমী থেকে তাদের মন্ডপে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামবে। দর্শনাথীদের নিরাপত্তা ও সাহায্যার্থে তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও মন্ডপ এলাকায় ২৪ ঘন্টা নিয়োজিত থাকবে।

ওসমানীনগর পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক চয়ন পাল বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পূজামÐপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে প্রশাসন। পাশাপাশি আমাদের উদ্যোগে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। যারা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে পূজামন্ডপের আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি সবাইকে করোনাকালিন সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবেন।

ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোসহ সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মন্ডপগুলোতে পুলিশ-আনসার-ভিডিপির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও রয়েছে পুলিশের নিয়মিত টহল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সফল ভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসন থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। পূজাকালিন সময়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। পূজার সময় যে কোন সমস্যায় কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন যে কেউ। প্রশাসন সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ এ উৎসবে সব ধরণের সহযোগিতা করবে।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে