​যায়যায়দিনে সংবাদ প্রকাশের পর ঝুকিপুর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২১, ২০:৩৩

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

 

 

বগুড়ার শাজাহানপুরে মহাসড়কের জায়গা দখল করে অনুমোদনহীন ঝুকিপুর্ণ বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার ১৩ অক্টোবর রোডস এন্ড হাইওয়ের সার্ভেয়ার আশরাফ আলী, বগুড়া জেলা প্রশাসক অফিসের সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন,শাজাহানপুর উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার জাহিদুর রহমান ও সাসেক কর্মকর্তাগন সহ উর্ধতম কর্মকর্তাগণ মহাসড়কের ভুমি পরিমাপের পর তারা এ নির্দেশ দেন এবং হলুদ রং দিয়ে ভুমি অধিগ্রহণের সীমানা লিখে দিয়ে যান।

 

এছাড়াও এ ভবন ভেংগে ফেলতে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসার ও নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট মৌসুমী আকতার স্বাক্ষরিত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে। তাতে করে সমপুর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে। অন্যথায় ভবন মালিক ওয়াজেদ আলীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

জানাগেছে, বিল্ডিং কোড অনুস্মরণ না করে মাত্র আড়াই ফুট জায়গাকে পুজি করে সাথে মহাড়কের ১৫ ফিট জমি দখল করে  প্রকাশ্যে শাজাহানপুর উপজেলা সদরে মৃত আফসার আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী অনুমোদন না নিয়ে মহাসড়ক ঘেঁষে নির্মান করেছেন বহুতল ভবন। সীমিত ভূমিতে নির্মিত ভবনটি যে কোন সময় ভেঙে পড়ার আশংকায় কারন দর্শানোর নোটিশ দেন বগুড়া ক্যান্ট বোর্ড। নির্দেশ দেন ভেঙে ফেলারও।  কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে তিনি গড়ে তুলেছেন এই ঝুকিপুর্ণ বহুতল ভবন। তাই নিজ ঘড়েও জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন আশেপাশের লোকজন। ফলে বিভিন্ন দফতরে এসব অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

 

 ভবনটির পাশে বসবাসরত মৃত সতীশ চন্দ্র সাহার ছেলে শ্রী আশীষ চন্দ্র সাহা বলেন, তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসক, শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সড়ক সম্প্রসারণ বিভাগ (সাসেক) এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।  অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সওজ এর হুকুম দখলকৃতু ভুমি দখলে নিয়ে মাঝিড়া বন্দরের আফসার আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী এবং তার স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম ঝুকিপুর্ণ বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। সামান্যতম ভুমিতে এই বিশাল আকারের বিল্ডিংটি যে কোন সময় ভেংগে পড়তে পারে। তাই তারা পরিবার পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। একই ধরণের কথা জানান, আশেপাশের প্রতিবেশীরা।

 

বিষয়টি অতি গুরুত্বপুর্ণ হওয়ায় এবং ক্ষয়ক্ষতির আশংকা থাকায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্র্তাগন। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মমকর্তাগন সরেজমিনে মাপযোগ শুরু করেন এবং মাপ অনুযায়ী ভবনটি মহাসড়কের ভূমির মধ্যে হওয়ায় তা ভেঙে ফেলার নিদেশ দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ভবন মালিক ওয়াজেদ আলী বলেন, এসব কিছুনা। অফিসে গেলে সব ঠিক করে আনা যায়। আর রোডস এন্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ হামিদুল হক বলেন, সরকারের হুকুম দখলকৃত সম্পত্তির মধ্যে যেই দখল করুক না কেন তা উচ্ছেদ করা হবে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এধরনের পদক্ষেপের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা। তাই নিরাপত্তা আর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভবনটি ভেংগে ফেলা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবী এলাকাবাসীর।

 

যাযাদি/এসএইচ