নরসিংদীর এক বাগান বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মাদি সাম্বার হরিণকে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের অবমুক্ত করা হয়েছে।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ (ঢাকা)’র বন্যপ্রাণি পরিদর্শক নিগার সুলতানা জানান, নরসিংদীর জনৈক মো. জাফর আহমেদ চৌধুরী বন্যপ্রাণি বিধি হওয়ার আগে ২০০৭সালে মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে দুইটি সাম্বার হরিণ ক্রয় করেন এবং তার বাগান বাড়িতে লালন-পালন করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৭সালে হরিণ ও হাতি লালন পালন বিধিমালা হওয়ার পর চিত্রা হরিণ পালনের কথা উল্লেখ থাকলেও সাম্বার হরিণ লালন-পালন করার কথা উল্লেখ নেই।

সেই চিনি এতিমখানায়

পরে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লাহ রেজাউল করিমের লিখিত আদেশে এবং বন্যপ্রানী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজল তালুকদারের নির্দেশনায় নরসিংদীর জাফর আহমেদ চৌধুরীর বাগানবাড়ি থেকে সাম্বার হরিণ দুইটি উদ্ধার করা হয়। নিবিড় পরিচর্যা শেষে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে হরিণ দুইটি অবমুক্ত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে সাফারি পার্কের ওই হরিণ বেষ্টনীতে দুইটি পুরুষ সাম্বার হরিণ থাকলেও মাদি সাম্বার হরিণ না থাকায় সেখানে সাম্বার হরিণের প্রজনন হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। এখন সেখানে মাদি সাম্বার যোগ হওয়ায় প্রজনন ও তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বন্যপ্রাণি পরিদর্শক নিগার সুলতানা জানান, অবৈধভাবে লালন-পালনকারীর নাম-ঠিকানা দিয়ে বন্যপ্রাণি উদ্ধারে কেউ তথ্য দিলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।

যাযাদি/এসএইচ