শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম

কোনো মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজকে কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হবে না
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০২

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্মের নামে কাউকে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করেছে। এদেশ সবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।

তিনি গত শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দীর্ঘ চার বছর পর অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এ সময় ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, কোনো মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদেরকে কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হবে না। অর্থের বিনিময়ে কোনো কমিটি দেওয়া হবে না।

আমরা নিজেদের মতো করে খোঁজখবর নিচ্ছি। যারা নিঃস্বার্থভাবে দলের জন্য কাজ করছেন তাদেরকেই কমিটি গঠনে মূল্যায়ন করা হবে। নৈরাজ্যবাদী কেউই কমিটিতে স্থান পাবে না, সে ব্যাপারে আমি আপনাদেরকে আশ্বাস দিলাম।

জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।

প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক আলামিনুল হক আল আলামিন, সদস্য মজিবুর রহমান, আশিকুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, এইচএম আল-আমিন আহমেদ ও শিরিন শিলা। বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ ও উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে দীর্ঘ চার বছর পর অনুষ্ঠিত জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সাজানো হয়েছিল বর্ণিল সাজে। নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় প্রাণচাঞ্চল্য।

জেলা যুবলীগের আগামী সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রত্যাশীরা শহরকে সাজিয়েছেন বর্ণিল সাজে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত করা হয়েছে প্রায় ৩০/৩৫টি তোরণ।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়, রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিল্ডিংয়ের দেয়ালে টানানো হয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক বিলবোর্ড ও ব্যানার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৮ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই কমিটির কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যে মারা গেছেন ও কয়েকজন বিদেশ চলে গেছেন।

এদিকে দীর্ঘ ৪ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় জেলা সম্মেলনের স্বপ্ন দেখছেন পদপ্রত্যাশীরা। আগামী সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইতোমধ্যেই প্রায় এক ডজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাজী মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এহতেশামুল বারী তানজিল ও যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা রাফি।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা হলেনÑ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সাবেক সহ-সভাপতি সামসুজ আমান চৌধুরী, মিনহাজ মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম আপন, জেলা যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মাসুদ ও সদর জেলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে