বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে (বরিশাল এয়ারপোর্ট রানওয়ের উত্তর মাথায়) ৫ ঘণ্টার ভাঙনে ৫টি বসতভিটা, একটি মসজিদ ও ঐতিহ্যবাহী একটি ঈদগাহ ময়দান সুগন্ধা নদীর ভাঙন কবলে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ভাঙনের ১৫০ গজ দূরে থাকা বরিশাল এয়ারপোর্ট রানওয়ে ও ৫০টির অধিক বাড়িঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সুগন্ধার তীব্র ভাঙনে উল্লিখিত ক্ষতি সাধিত হয়। এখনও ভাঙন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়দের সহায়তায় নদী পাড়ের ঘরবাড়ি ও গাছপালা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভাঙনের তীব্রতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি দ্রুতই সুগন্ধার গ্রাস এয়ারপোর্ট সীমানার দিকে এগোচ্ছে। মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছে। হুমকির মুখে পড়া ঘরবাড়ি আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

খুলনা বিভাগের ১৮ উপজেলা নির্বাচনে ৭৪ ভাগ প্রার্থীই আ.লীগের

খবর পেয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম। তিনি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনকে ভাঙন পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা জানিয়ে স্থানীয়দের অভয় দিয়ে বলেন, ‘নদী ভাঙন রোধে আমরা জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতনদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাব এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ধরনের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বাবুগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হোসেন জানান, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বরিশাল এয়ারপোর্ট রানওয়ের উত্তর মাথাসহ ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামটি অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এখানে জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি।

ভাঙনে ঘরবাড়ি ও জমি হারিয়ে নিঃস্বপ্রায় ওই গ্রামের ইদ্রিস বেপারি, সিদ্দিক বেপারি, ওমর আলী, খলিল হাওলাদার, বজলু হাওলাদার। এছাড়া পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী জামে মসজিদ ও ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

যাযাদি/ এস