​কালিহাতীতে স্কুলছাত্রী সুমাইয়াকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিক

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:২২

কালিহাতী প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। স্কুলছাত্রী সুমাইয়াকে হত্যার পর ঘাতক প্রেমিক মনির আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। এরপর টাঙ্গাইলের র‌্যাব সদস্যরা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন।

 

এ ঘটনায় আহত মনির মিয়ার (১৭) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে র‌্যাব হেফাজতে চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে তোলা হবে। বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 অভিযুক্ত প্রেমিক বাসের হেলপার মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

 

সুমাইয়ার বাড়িতে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস।অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সুমাইয়ার পরিবার।

 

র‌্যাব কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে মনিরের দুই বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রায় দুই মাস আগে সুমাইয়া মনিরকে বাদ দিয়ে অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মনির সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মনির সুমাইয়াকে মারধর করে। এরপর বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় সুমাইয়াকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি ভবনের নিচতলায় সুমাইয়াকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির।

 

তিনি আরও জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর পাশেই মনির আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মনিরের দুটি ভিডিও পেয়েছি। ছুড়িটি স্পেশাল, ওটি চাপ দিলেই দুই দিক থেকে দুটি ছুড়ি বের হয়। আমাদের ধারণা ছিল, এই ছুড়ির মালিকই ঘটনা ঘটিয়েছে। মনিরের আগের ভিডিওতে এই ছুড়ি দেখা গেছে। গতকাল মনির তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে অস্ত্রের কথা বলেছে। সেখানে বসে মনির ড্রিংকস করেছে। মনির বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

যাযাদি/ এমডি