বরিশালে ১০০ টাকায় ৪৮ জনের স্বপ্নপূরণ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২১, ২০:১৪

বরিশাল অফিস

 

 

বরিশাল জেলায় ১০০ টাকায় স্বপ্নপূরণ হলো ৪৮ তরুণ-তরুণীর। জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যাচাইয়ের মাধ্যমে শুধু সরকারি খরচে পুলিশে চাকরি পেলেন এই ভাগ্যবানরা। মূল্যায়ন হয়েছে  মেধা ও যোগ্যতার। আশা পূরণ হয়েছে অনেক দরিদ্র পরিবারের বাবা-মায়ের। শনিবার (২৭ নভেম্বর) তাদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।

 

বরিশাল জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৯২০ জন তরুণ-তরুণী অনলাইনে আবেদন করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন ধাপে শারীরিক পরীক্ষা শেষে ৩৬৫ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৩৫ জন। ১৪ দিনের এই প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বরিশাল পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাদের মধ্যে মেধা এবং সব কোটা মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ৪৮ জনকে চাকরির জন্য মনোনীত করা হয়। এছাড়া আরও ১০ জনকে রাখা হয়েছে অপেক্ষমাণ তালিকায়। এর মধ্যে ৫০ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী রয়েছেন।

 

এ সময় উত্তীর্ণরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই মাত্র ১০০ টাকায় চাকরি পেয়ে খুশিতে আবেগাপ্লুত তারা। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হওয়ায় আনন্দিত অভিভাবকরাও। শনিবার (২৭ নভেম্বর) তাদের বরিশালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকায় চূড়ান্ত মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেই পাবেন নিয়োগপত্র। 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে কৃষক পরিবারেরই রয়েছেন ১৩ জন, ভ্যান ও অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে এমন পরিবারের ৪ জন ও শ্রমিক পরিবারের রয়েছে আরও ৫ জন। এছাড়া বাকিরাও মেধার গুণে নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান হয়ে চূড়ান্ত তালিকায় নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। আবার এর মধ্যে অনেকের বাবাও বেঁচে নেই। এসব পরিবারের সন্তানদের কাছে সরকারি চাকরি ছিল অনেকটা সোনার হরিণের মতো। কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ কয়েকজন সদস্য এবং তাদের পরিবার জানান, আমরা ভাবতেও পারি নাই যে, টাকাপয়সা ছাড়া আমাদের  ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশের আইজিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

 

পুলিশের আইজি কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্বকে পবিত্র মনে করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেন বরিশাল পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেধাবীরা চাকরির সুযোগ পাওয়ায় পুলিশের সেবার মানের উৎকর্ষতা আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া চাকরিপ্রার্থীরাও ভবিষ্যতে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন।

 

যাযাদি/ এস