চা শ্রমিকদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রাজনগর চা বাগান বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষকদের বেতন বহন করছে বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ৬১ বছর ধরে বিদ্যালয়টি অনেকবার ভেঙ্গে গেছে। আবার বাগান কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষিত চা শ্রমিকদের সন্তানরা মিলে গড়েছেন নতুন করে। সম্ভব হচ্ছিল না একটি টেকসই পাকা ভবন নির্মানের।
চা-শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে জানতে পেরে ২২ লক্ষাধিক টাকা খরচে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন তৈরি করে দিলেন উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের রাজনগর চা বাগানের মালিক দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী সমাবেশে দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, পিছিয়ে পড়া চা-জনগোষ্টির মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালাতে আমি এখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। চা-শ্রমিকের সন্তানেরা যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। শিক্ষা দীক্ষার অভাবে মানুষ পিছিয়ে পড়ে। দক্ষ ও টেকসই মানুষ গড়ার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমার প্রত্যাশা শ্রমিকদের ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করে দক্ষতা অর্জন করবে। যদি আইনি জটিলতায় বাধা গ্রস্থ না হন তা হলে পর্যায়ক্রমে এখানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
রাজনগর চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. মহসীন এর সভাপতিত্বে ও সুজিত সিং এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তব্য দেন, রাজনগর টি কোম্পানী লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হাই, রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, রাজনগর চা বাগানের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক খালিদ মঞ্জুর খান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মন্টু নোনিয়া, শ্যামলাল কালোয়ার প্রমুখ।
যাযাদি/এসআই