​ফুলবাড়ীতে অদৃশ্য রোগে দুই গ্রামে ২০ গরুর মৃত্যু

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:১৪

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

 

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সাতদিনের ব্যবধানে অদৃশ্য রোগে দুই গ্রামের ২০ গরুর মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই গ্রামে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে আরো অর্ধশত গরু।

 

কৃষকরা জানায় হঠাৎ গরুর শাষকষ্ট ও কাপঁনী শুরু হয়ে গরু গুলোর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।।

 

উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বাসুদেবপুর গ্রামে ও বেতদিঘী ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে এই গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

 

পশু চিকিৎসকেরা বলছেন মৃত্যুর কোলে ঢলেপাড়া গরু গুলোর শীশা বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা গেছে। কৃষকরা জানান, হঠাৎ গরুগুলোর শাষকষ্ট ও পেট ফেঁপে গিয়ে কাঁপনী শুরু হচ্ছে। আর এক দুই দিনের মধ্যে মারা যাচ্ছে। দক্ষিন বাসুদেপুর গ্রামের ফয়জুর রহমান মুকুল বলেন ৩০ নভেম্বর তার দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে, একই ভাবে গত ২৭ নাভেম্বর একই গ্রামের বাদশা মিয়ার দুটি গরু, সোহেল মিয়ার দুইটি, মনিার হোসেন একটিসহ ওই গ্রামে গত সাতদিনে ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মহেষপুর গ্রামেও ১০টি গরু মারা গেছে। এই ভাবে একের পর ্গবাদি পশুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গ্রামের সাধারণ কৃষক। গ্রামবাসীরা জানায় মাঠের মধ্যে একটি অস্থায়ী ব্যাটারী কারখানা তৈরী করার পর থেকে ওই মাঠে চলাচলকরা গরু গুলোর এই সম্যসা দেখা দিচ্ছে। এছাড়া পশু চিকিৎসকগণ ব্যটারীতে ব্যবহারীত শিশার বিষক্রিয়ার কারনে গরু গুলোর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

 

কৃষকরা জানান, ‘টাকা ছাড়া গরু দেখছেনা পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বাড়ীতে এসে এক হাজার টাকার কম হলে তারা গরু দেখেন না।’

দক্ষিন বাসুদেপুর গ্রামের মীনার হোসেন জানান, তার গরুর চিকিৎসা দিয়ে এক হাজার টাকা ভিজিট নিয়েছে পশু হাসপাতালের ভেটেরিনারী সার্জন নেয়ামত আলী, একই কথা জানান, ওই গ্রামের ভুক্তভোগী ফয়জুর রহমান মুকুল।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভেটেরিনারী সার্জন নেয়ামত আলী, টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে প্রশ্ন তুলে বলেন একজন সার্জন ভিজিট ছাড়া কেন চিকিৎসা দিবে।

 

তবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, টাকা নেয়ার কথা তিনি জানেন না, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

 

যাযাদি/ এস