​জুরাছড়িতে পার্বত্য শান্তি চুক্তি পালিত

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৩১

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

 

 

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৪ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রীতি ছিলনা, পাহাড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব ছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার কারণে পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে সম্প্রীতির বন্ধন স্থাপন করেছে। এর সুফল হিসেবে পার্বত্য বাসী ২যুগ ধরে উন্নয়নের আলো ছরিয়ে দিচ্ছে সরকার।

 

রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর আয়োজিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির দু'যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে বণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃআক্তারুজামান ফয়সাল একথা বলেন।

 

সভায় উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃশফিউল আজম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ সময় রির্সোস সেন্টারের ইন্সেট্রাক্টটর মোঃ মরশেদুল আলমের ধারা সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পানছড়ি ভুবন জয় সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্যানন্দ চাকমা, ভুবন জয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শান্তি ময় চাকমা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃঅনন্যা চাকমা, হেডম্যান করুনা ময়, কার্বারি সুশান্ত চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমাসহ চার ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য প্রদান করেন।

 

এ সময় উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিশেষ অঞ্চল হিসেবে বিশেষ মর্যাদায় উন্নয়ন করার জন্য পার্বত্য মন্ত্রনালয় গঠন করা হয়েছে এবং তার অধীন তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

 

জোন অধিনায়ক মোঃআক্তারুজামান ফয়সাল আরো বলেন, উন্নয়নের মূল শর্ত হচ্ছে সম্প্রীতি ও পরিবেশ সৃষ্টি করা। যে পরিবেশে সবাই সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজেরাই নিজেদের উন্নয়ন করবে- নিজেরা উন্নয়ন হলেই  সামাজিক ভাবে দেশের উন্নয়ন সম্ভব।

 

তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পাহাড়ের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের উন্নয়নে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।

 

আলোচনা সভা শেষে উপজেলা মাঠে ১৫৩ জন দুস্থদের কম্বল ও জুরাছড়ি ইউনিয়নে পরিষদে ২শতাধীক বৃদ্ধ, নারী, শিশুকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

 

বিকালে সম্প্রীতি ফুটবল টুনামেন্ট ও সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পী দের নিয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজন করা হয়েছে।

 

যাযাদি/এসআই