শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:১৯

পটুয়াখালীর বাউফলে দাসপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর ফেরদৌস বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মো. আউয়াল (৫২) ও তাঁর ছেলে মো. রাশেদকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মো. রাশেদকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তার বাবা মোঃ আউয়ালকে জিজ্ঞেসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে কালাইয়া ও ঢাকাগামী বন্ধন-৫ দোতালা লঞ্চ থেকে আউয়াল ও তার ছেলে রাশেদকে আটক করা হয় । রাশেদকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

নিহত গৃবধূর স্বামী জাকির হোসেন বলেন, ফেরদৌসের পায়ে ব্যথা ছিল। এ কারণে গত ২৯ অক্টোবর সকালে তিনি ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ৩১ অক্টোবর আমি বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দাসপাড়া ভুরভূরিয়া খালের পাশে জঙ্গলের মধ্যে থেকে লাশ পুলিশ আমার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরের দিন আমার স্ত্রীর ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন অজ্ঞাত আসামি করে বাউফল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী মহিউদ্দিন বলেন,‘পূর্ব বিরোধের জেরে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বোনের লাশ পাওয়া গেছে ১২ নভেম্বর । অথচ ৯ নভেম্বর রাশেদ এক ব্যক্তির কাছে বলে খোঁজাখুঁজি করে লাভ নাই। ফেরদৌস বেগম খুন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে রাশেদ ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। এসব বিষয় আমি পুলিশকে জানালে তাঁরা রাশেদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আসছিলেন। রাশেদ বিষয়টি টের পেয়ে লঞ্চযোগে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ বুধবার সন্ধ্যার দিকে নিমদি ঘাটে বন্ধন-৫ দোতালা লঞ্চে তল্লাশি চালিয়ে শৌচাগারের মধ্যে থেকে তাকে আটক করেন।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে