​বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল, গ্রেফতার ১

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২৭

বরগুনা প্রতিনিধি

 

বরগুনার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্ক শাখার সিল ও স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে জয় চন্দ্র মাঝি (২৭)নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে উচ্চ আদালতের একটি রিটের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে ফ্রন্ট ডেস্ক শাখার সিল ও স্বাক্ষর জাল দেখতে পেয়ে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ওই যুবককে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন।

 

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারি জাহিদুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় বাদি হয়ে জয় চন্দ্র মাঝিকে আসামী করে বরগুনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

গ্রেফতারকৃত জয় চন্দ্র মাঝি আমতলী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নির্মল মাঝির ছেলে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জয়চন্দ্র মাঝি উচ্চ আদালতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করে রিট পিটিশন করেন,জেলা প্রশাসকের নিকট স্প্রীড বোট ব্যতীত অন্য সকল খেয়াপারা পারে যেন নৌযান চলাচল করতে না পারে এ ব্যাপারে ৩১ আগষ্ট জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করলেও তিনি কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না। ১৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত এক আদেশে জেলা প্রশাসককে ১ মাসের মধ্য বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে জেলা প্রশাসক সোমবার আবেদনকারী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুনানির জন্য ডাকেন। শুনানির এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক আবেদনকারীর নিকট তার নিকট ফ্রন্ট ডেক্সে দেয়া আবেদন পত্রের রিসিভ অনুলিপি দেখতে চান। রিসিভ অনুলিপিতে ব্যবহৃত সিল ও সাক্ষর দেখে জেলা প্রশাসকের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসা বাধের এক পর্যায়ে আবেদনকারী স্বীকার করেন, ফ্রন্ট ডেক্সে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে কোন আবেদন করেননি। সিল ও সাক্ষর জাল করেই তিনি জেলা প্রশাসকের বিরুদ্বে প্রতিকার না পাবার অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ের সিল জাল করার অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করেন।

 

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, সিল ও সাক্ষর জাল করার অভিযোগে জয়চন্দ্র মাঝি নামের এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারি জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে জয় চন্দ্র মাঝিকে আসামী করে মামলা করেছেন।

 

যাযাদি/এসআই