বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রী ও তার স্বামীকে হেনস্থা ও মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই ছাত্রীর স্বামী সোহাগ হাসান বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি)ফজলুর রহমান জানান, ঘটনার রাতেই মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারী) ওই শিক্ষার্থীর স্বামী সোহাগ হাসান বাদী হয়ে মেম্বার লিটন মোল্লা, তার অনুসারী জয় এবং মাকুন মোল্লার নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দুই তিনজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

দৌলতপুরে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও পশুপাখির প্রদর্শণী উদ্বোধন 

বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল আলম লিটনের অনুসারী জাহিদ হোসেন জয় নামের এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রায়ই উক্তত্ব করতো। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ছাত্রী তার স্বামীকে নিয়ে পাশের আনন্দ বাজার এলাকায় ঘুরতে গেলে তাদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় জয় ও তার সহযোগীরা।

এমনকি মেম্বার লিটনের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রী ও তার স্বামীকে মারধর করা হয়। এসময় ওই ছাত্রী নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও সাথে থাকা ব্যক্তি তার স্বামী বলে পরিচয় দিলেও বখাটেরা নানানভাবে হেনস্থাও করে তাদের। এ খবর ছড়িয়ে পরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ঘন্টাব্যাপি অবরোধ করে। পাশাপাশি তারা মেম্বার লিটন ও তার অনুসারী জয়ের বাড়ি এবং স্থানীয় একটি ক্লাব ও পাঠাগার ভাংচুর করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি রাতে স্থগিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

লিটন মেম্বারের ভাই ফারুক হোসেন ও জয়ের মা জোসনা বেগম জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হঠাৎ করেই ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থী লাঠিসোটা নিয়ে ঢুকে পরে। তারা শেখ রাসেল ক্লাব ও সুকান্ত আব্দুল্লাহ পাঠাঘর এবং লিটন মেম্বার ও জয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর করে। এদিকে মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিলেও বুধবার আর কোন ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেনি তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন জানিয়েছেন, বর্তমানে একাডেমিক কার্যক্রমসহ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচারও চেয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর স্বামী সোহাগ হাসান বাদী হয়ে মেম্বার লিটন মোল্লা, তার অনুসারী জয় এবং মাকুন মোল্লার নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো দুই তিনজনকে আসামি করে বন্দও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলার কোন আসামীকে আটক করতে পরেনি পুলিশ।

যাযাদি/ এস