শেরপুরের নকলার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের এক ছাত্রকে অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে তরুণীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মুন্সিগঞ্জের বালীগঞ্জ বাজার থেকে ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেন নকলা থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধুকুরিয়া এলাকার ফজলুল হকের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতনে এসএসসি’র পরীক্ষার্থী ছিলেন এনামুল হক (১৭)। এনামুল হক প্রাইভেটের যাতায়াতের পথে বিভিন্ন ধরনের লোভ, লালসা ও কুপ্রস্তাব দিতেন ধনাকুশা এলাকার মৃত. আহর উদ্দিনের কন্যা আনোয়ারা বেগম আনু। বিভিন্ন সময় প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছেন আনোয়ারা বেগম আনু। এসবে ব্যর্থ হয়ে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর সকাল আটটার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার ওপর থেকে সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এনামুল হকের পরিবার নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত সোমবার রাতে মুন্সিগঞ্জের বালীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে এনামুল হককে উদ্ধারসহ আনোয়ারা বেগম আনুকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুরো নকলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা বেগম আনুর পরিবার জানায়, ‘এনামুল হকের সঙ্গে আনোয়ারা বেগম আনুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তারা দুজনের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। এখানে অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নকলা থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন জানান, তারা দুজনই মুন্সিগঞ্জের বালীগঞ্জ বাজার এলাকায় স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গোপনে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিন্তু তাদের বিবাহের বৈধ কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া শিক্ষার্থী এনামুল হকের বয়সও কম।
নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে ভিকটিম এনামুল হকের ভাই ইমরান মিয়া নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩-এর ৭ ধারায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ারা বেগম আনুকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
যাযাদি/ এস