মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

​ ফরিদপুরে নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে কপাল কেটে ফেলেছে নার্স ও আয়া

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৪৫

ফরিদপুরে নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে কপাল কেটে ফেলেছে নার্স ও আয়া। শনিবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন আল-মদিনা হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতেই প্রসূতি মায়ের পেট থেকে নবজাতক বের করতে গিয়ে শিশুটির কপালের একটি অংশ কেটে ফেলে নার্স ও আয়ারা।

এ ব্যাপারে রোগীর লোকজন প্রশাসনে অভিযোগ জানালে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে চায়না বেগম নামের ওই নার্স ও হাসপাতালের পরিচালক পলাশকে ধরে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, ওটিসি স্টার পরিচয়ধারী ওই নার্স দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ডাক্তার ছাড়াই নবজাতক প্রসব করে আসছিলেন।

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার মইজুদ্দিন মাতব্বর পাড়ার বাসিন্দা শাকিল খান জানান, তার চাচি রুপা বেগমকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে চায়না বেগম ও দুজন আয়া ডাক্তার ছাড়াই বাচ্চা বের করতে গিয়ে শিশুটির কপালের একটি অংশ কেটে রক্তাক্ত করে ফেলে। তিনি সংশ্লিষ্ট আয়া ও নার্সদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

আহত নবজাতকের ফুপু হোসনেয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা বার বার বলার পরেও হাসপাতালে আয়া ও নার্স শিশুটিকে প্রসব করাতে গিয়ে এই অঘটন ঘটায়। আমরা শিশুটির যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করে সেই দাবি জানাই।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল আলম বলেন, এ জাতীয় ঘটনা কাম্য নয়। আমরা ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে দু'জনকে আটক করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগকে আমরা বলেছি।’

বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি ডাক্তার আব্দুল জলিল বলেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। কেন ডাক্তার ছাড়া প্রসূতির ডেলিভারি করা হলো। সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এই অন্যায় কাজের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব আমরা।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা করিম বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদাসীনতা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা প্রসূতি মায়ের অপারেশন ও এই জাতীয় কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ডাটাবেজ তৈরি করছি। এ ব্যাপারে মনিটরিং জোরদার করা হবে।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে