গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতের আঁধারে ২ হাজার সবজি গাছ কেটে ফেলার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর অসহায় কৃষাণি গোলাপীর পাশে দাঁড়ালেন এক ব্যবসায়ী। দিয়েছেন পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। শুক্রবার(২১ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে গোলাপীর ক্ষতিগ্রস্ত সবজি বাগানে গিয়ে নগদ টাকা হস্তান্তর করেন তিনি।
নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা ব্যক্তির নাম হুমায়ূন সরকার। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার বাসিন্দা। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেনের উপস্থিতিতে গোলাপী বেগমের হাতে তিনি ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গোলাপীকে পাকা ঘর তৈরি করে দিবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
বুধবার রাতের কোনো এক সময় গাজীপুরের শ্রীপুরের গাড়ারণ গ্ৰামে গোলাপী বেগমের সবজি বাগানের ২ হাজার শসা ও মিষ্টি কুমড়ার গাছ কেটে ফেলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত । আঞ্চলিক সড়কের পাশে বিশাল বাগানটির সবগুলো গাছের গোড়া কেটে দেওয়া হয়েছে। আশপাশের আরো বেশ কয়েকটি সবজি খেত থাকলেও কেবল গোলাপীর বাগানের গাছগুলোই কেটেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ওই বাগানের সবজি বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গোলাপী বেগম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবরটি প্রচার হলে তা দৃষ্টি কাড়ে ব্যবসায়ী হুমায়ূন সরকারের। পরে তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ওই কৃষাণির বাড়িতে যান। তার পাশে দাঁড়ান।
হুমায়ূন সরকার যায়যায়দিন প্রতিনিধিকে বলেন, আমি ব্যবসায়ী। আমার সাধ্য অনুযায়ী গোলাপীর পাশে দাঁড়িয়েছি। এমনকি তাকে ঘর তৈরি করে দিবো। এই সহযোগিতার পেছনে আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি কেবল মানবিক কারণে সহযোগিতা করেছি।
অর্থ হস্তান্তরের সময় সেখানে উপস্থিত শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, অসহায় এই নারীর পাশে যিনি দাঁড়িয়েছেন তিনি নিঃসন্দেহে ভালো মানের মানুষ। তাঁকে ধন্যবাদ। এই গাছ কাটার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
যাযাদি/এসএইচ