পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরভবাসীপুর গ্রামে পদ্মা নদীর বুক চিরে পানি প্রবাহ বন্ধ করে ইটভাটায় অবৈধ ভাবে মাটি পরিবহণের লক্ষ্যে তৈরী করা রাস্তা রোববার প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অপসারণ করেছে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন জব্দ করা হয়।

পাবনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, প্রবাহমান নদীকে বন্ধ করার কোন সুযোগ নেই। হেমায়েতপুর এলাকায় চরভবানীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশর্^বর্তী চর থেকে একটি চক্র ইটভাটার জন্য অবৈধ মাটি কেটে তা পরিবহণের জন্য পদ্মা নদীতে মাটি ভরাট করে রাস্তা তৈরী করেছিলো। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তা মাটি কেটে নদীর প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে।

সেই চিনি এতিমখানায়

ইউএনও আরো জানান, বারবার সতর্ক করার পরেও চরের জমি থেকে ইটভাটা মালিকরা অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ করেননি। তারা আমাদের নজরদারী এড়িয়ে রাতে মাটি কাটছিলো। রোববার সকালে জেলা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাটি কাটায় ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর আটক করে নিস্কিয় করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতরা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে শাস্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে, চক্রটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চরভবনীপুরই নয় নদী তীরবর্তী যেকোন এলাকায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহবান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত. পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরভগীরথপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের পদ্মার শাখা নদীতে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে নদী ভরাট করে রাস্তা তৈরী করে এএমবি ইট ভাটার মালিক জুয়েল প্রামাণিক ও এএইচজি ইট ভাটা মালিক আলাল প্রামাণিকের নেতৃত্বে একটি চক্র। এতে বিপাকে পড়ে স্থানীয় কৃষক ও মৎসজীবীরা।

যাযাদি/ এস