পাবনার সাঁথিয়ায় আবাদী জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করায় পুকুরে পানি জমিতে চলে আসায় কৃষকের প্রায় ৩০ বিঘা জমির ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক । তাদের ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী সমাধান দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জিব কুমার গোস্বামী কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং প্রতিকারের আশ্বাস দেন। অপর দিকে ব্রীজের নীচ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে স্থায়ী বাধ দেয়া হয়েছে। ফলে মাঠের পানি মাঠেই রয়ে যাচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক।
অভিযোগে জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর- বেড়া মহাসড়কের সরপ গ্রামের পাশে ধোপাদহ ইউনিয়নের তেতুলিয়া মৌজায় এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহীন , হানিফের ছেলে নাজমুল আবাদী জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছে। বর্তমানে ওই পুকুরের অতিরিক্ত পানি দেওয়ায় পুকুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি বের করে দিয়ে কৃষকের প্রায় ৩০ বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। অপরদিকে জমিতে পানি থাকায় কোন আবাদ করতে পারছে না তারা। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন কৃষকেরা।
সরজমিন কৃষকের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, পুকুরের পানি নিস্কাশনের জন্য ডাইকে পাইপ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে সড়কের ব্রিজ দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো সে ব্রিজটির মুখে স্থায়ী বাধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে মাঠে পানি ঢুকলেও বের হওয়া পথ নাই্। এ সময় অভিযোগকারী কৃষক জামাল উদ্দিন খাঁ,মাজেদ আলী, ওসমান গণি. আব্দুল আজিজ,ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রশিদসহ অনেক কৃষকেরা বলেন, দীর্ষদিন ধরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি এই পুকুরের কারণে। আমাদের কালাই, শরিষা সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নিস্কাশন না হলে আমরা আবাদ করতে পারবো না । আমরা এসবের ক্ষতিপুরণসহ স্থায়ী একটা সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কৃষি অফিসারকে পাঠিয়েছি সরজমিন তদন্ত করতে। সত্যতা পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/এসএইচ