​​​​​​​গ্যাস সংকটে যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২২, ১১:৫৪

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

 

 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানা  গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে যমুনা সারকারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (অপারেশন) এমনটাই জানিয়েছেন

 

কারখানার একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, যমুনা সারকারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৭শ মে.টন গ্যাসের চাপ কম থাকায় তা ১৩শ ২৬ মে.টনে নেমে আসে চলতি মাসে ৪১ হাজার মে.টান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও গ্যাস সংকটের কারনে উৎপাদনে যেতে পারছেনা যমুনা সার কারখানা কারখানা চালাতে হলে চাহিদা মাফিক চাপে পরিমানে স্থিতিশীল গ্যাস সরবরাহ অতি জরুরি চাহিদা মাফিক গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছেনা যমুনা বিষয়টি বিসিআইসির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সস্প্রতি অবহিত করেছেন (জেএফসিএল) কারখানা কর্তৃপক্ষ

 

চলতি বছরের ২৭ মার্চ যমুনা সার কারখানার শর্ট শাট ডাউন শুরু হয় শর্ট শাট ডাউন শেষে গত মে উৎপাদন শুরু হয় উৎপাদন শুরুর ৫দিন পর ফের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় অ্যামোনিয়া প্লান্টের ২নং বিএফডব্লিউ প্রি-হিটারের এসি--০৫এ/বি এর ক্যাপ ফ্লাঞ্জের ওয়েলডিং ফেল করে এতে ব্যাপক হারে গ্যাস নির্গত হতে থাকে কারনে কারখানার নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরো অ্যামোনিয়া প্লান্ট বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ পরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে মেরামত কাজ শুরু করা হয় গত ১১মে মেরামত কাজ শেষ হয় পরদিন ১২মে ওই লিকেজ টেস্ট করে সঠিক পাওয়া যায় উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন গ্যাস কিন্তু কারখানায় দেখা দিল গ্যাস সংকট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যেতে বেশ কয়েকটি ধাপে নির্ধারিত চাপে পরিমানে গ্যাসের প্রয়োজন হয়

 

প্রথম ধাপে ২৮ এমএমসিএফ, দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ এমএমসিএফ, তৃতীয় ধাপে ৩৫ এমএমসিএফ, চতুর্থ ধাপে ৩৮ এমএমসিএফ পঞ্চম ধাপে ৪২ এমএমসিএফ গ্যাসের প্রয়োজন হয় প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর সুষ্ঠু নিরাপদে কারখানা চালাতে সার্বক্ষনিকভাবে ২৫কেজি চাপে ৪৫. এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন গত ১২ মে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করে কারখানা কর্তৃপক্ষ এতে কারখানার চাহিদা মাফিক চাপে পরিমানে স্থিতিশীল গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন হয় তবে গ্যাসের চাপ কোনভাবেই স্থিতিশীল থাকছে না বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে ওইদিন সকাল ৭টায় গ্যাসের চাপ ছিল ১৬.৯০ কেজি বিকেল ৬টায় তা .৩০ কেজিতে নেমে আসে এভাবে দ্রুত গ্যাসের চাপ কমতে থাকায় কারখানার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় আসে কর্তৃপক্ষের পরে প্রাইমারী রিফরমারের ১৬০টি বার্নারের ১৪০টিই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় যমুনা সার কারখানা একটি অত্যাধুনিক ভারী শিল্প কারখানা কারখানার লোড ঘনঘন উঠানামা করা হলে অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি যন্ত্রাংশ ব্যাপকহারে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে বলেও ওই সুত্রটি দাবি করে

 

ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আব্দুল হালিম বলেন, কারখানাটি সুষ্ঠু নিরাপদে চালু রাখতে হলে চাহিদা মাফিক চাপে পরিমানে স্থিতিশীলভাবে সার্বক্ষণিক গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন উৎপাদন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপ সম্পন্ন করতে হলে ২৫ কেজি চাপে দৈনিক ৪৫. এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি

 

যাযাদি/এসএইচ