ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের কোলাকুলির একটি হাস্যোজ¦ল ছবি সবার দৃষ্টি কেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পরার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও। মাত্র তিন দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কাশেম ভূইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে উপজেলা আওয়ামীলীগ।
ওই সম্মেলনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপজেলার ৫ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবী করেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে কাঁদা ছুড়াছুড়ি শুরু হয়। বিষয়টি গত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে আকস্মিক ভাবে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া পৌরশহরের রাধানগরস্থ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বাসায় যান। এসময় তারা কোলাকুলি করেন এবং চলমান রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
আওয়ামলীগের একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া এবং আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের স্বাক্ষাতের বিষয়টিকে তারা ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন। এতে দলের বিভ্রান্তি ও কাঁদা ছুড়াছুড়ি বন্ধ হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়ার পরিবারের এক সদস্য জানান, তিনি (কাশেম ভূইয়া) অসুস্থ্য। তাঁর দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। অচিরেই কিডনি প্রতিস্থাপন করাবেন। তাঁর এক মেয়ে বাবার জন্য কিডনি ডুনেট করেছে। তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে বাসায় গিয়েছিলেন। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি কাটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দুজনেই একমত পোষন করেছেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দ্ব›দ্ব নাই। তিনি অসুস্থ। আমার সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান কাশেম ভূইয়া নিজ কার্যালয়ের স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী তাকে বলেছেন ‘ আইনমন্ত্রী আখাউড়ার যাদেরকে চাকরী দিয়েছেন তারা নাকী টাকা দিয়ে চাকরী পেয়েছে।’ এছাড়াও তিনি দলের আভ্যন্তরীন বিষয়ে কিছু কথা বলেন। এরপর থেকেই তিনি দলের নেতাকর্মীদের তুপের মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
যাযাদি/এসএইচ