গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বর থেকে দুই দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এসময় আদালতের কার্যক্রম দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় সেখানে থাকা আরও কয়েকজন দালাল।

মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরের দিকে তাদেরকে আটক করার পর বিকেলের দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উজ্জ্বল কুমার হালদার।

কুমিল্লায় উপজেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা

শাস্তি প্রাপ্ত দুজন হলেন, শ্রীপুর উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ (২৮)। সে শ্রীপুরের আল ফুয়াদ ক্লিনিকে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করতো। অপরজন কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি এলাকার রনজু মিয়ার ছেলে সানোয়ার হোসেন। তিনি একটি ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি।

দৌড়ে পালানো ব্যক্তিরা হলেন, নাজিম উদ্দীন, রাব্বি আনসার আলীহ বেশ কয়েকজন।

আদালত সুত্রে জানা যায়, হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে বিড়ম্বনা সৃষ্টির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে সানোয়ার হোসেন ও রোগী ভাগিয়ে পাশের আল ফুয়াদ ক্লিনিকে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পারভেজকে আটক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে বিকেলের দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় পারভেজকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও সানোয়ারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতাল চত্বরে প্রাইভেটকার পার্কিং থাকায় সেখানের একাধিক চালক হাসপাতালের রোগ ভাগিয়ে ক্লিনিকে নেওয়ার কাজে জরিত। এছাড়াও যাতায়াতের কথা বলে প্রায়সময়ই রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানি করে থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে নেয়ার চেষ্টা ও রোগীদের বিড়ম্বনা সৃষ্টি করায় তাদের আটক করা হয়। আজকে দুজনকে পাওয়ায় শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার সাথে যেকেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। সুষ্ঠু চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন এ কর্মকর্তা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উজ্জ্বল কুমার হালদার যায়যায়দিনকে বলেন, অভিযুক্তদের একজন সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে উলটাপালটা ধারণা দিয়ে আশপাশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে নেয়ার চেষ্টা করছিলো। অন্যজন রোগী হয়রানির সাথে জড়িত। এমন অপরাধে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

যাযাদি/এস