ভুট্টো হত্যার ঘটনায় টেকনাফে টানটান উত্তেজনা

কক্সবাজার টেকনাফে সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া এলাকায় নুরু হক ভুট্টা হত্যাকে কেন্দ্র করে নাজির পাড়া ও মৌলভী পাড়া দুই গ্রাম বাসীর মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনা নিয়ে আবারও দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে চিকিৎচাধীন অবস্থায় রয়েছেন। চলছে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও হতাহতের ঘটনা। ফলে যে কোন মূহুর্তে আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে স্থানীয়দের ধারণা।

মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় মোহাম্মদ জুহারের স্ত্রী আয়েশা খাতুন জানান, নিহত ভুট্টোর পক্ষের লোকজন এসে তার বাড়িসহ তিন টি বাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় একরামের চাচা আমির হামজার পুত্র জাফর আলম (৫৫) কে আহত করেছে।

অপর দিকে নিহত ভুট্টোর ভাই টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক "যায়যায়দিন কে জানান, আমার ভাইয়ের হত্যা কারিরা কিছুক্ষণ আগে আমার এলাকার কায়েস নামের এক ভাই কে একরামের ভাই ও করিম গং ইচ্ছে মতো মারধর করে হাতের হাড্ডি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জন নিরাপত্তা বিষয়ে তাৎক্ষণিক এলাকায় ছুটে যায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু, টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ ও টেকনাফ ২ বিজিবি'র সদস্যরা। পরে তারা দুই এলাকা বাসী কে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু "যায়যায়দিন কে জানান, উত্তেজনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে, দুই পক্ষের ভেতরে যাতে কোন উত্তেজনা যাতে না হয় সে জন্য আমরা সদা সচেষ্টে আছি।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান "যায়যায়দিন কে জানান, খরব পেয়ে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরো জানান, নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার ভুক্ত ১৭ জন ও অজ্ঞাত আরো ৮/১০ কে আসামি উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছে।

উল্লেখ্য যে, রোববার সন্ধ্যায় টেকনাফের সাবরাং এলাকা থেকে একটি সালিশ বৈঠক শেষে ভুট্টোসহ তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন। সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ একরাম ও আব্দুর রহমানের নেতৃেত্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার উপর ফেলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। প্রথমে তারা কুপিয়ে দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে। পরে বুকে, মাথায় ও দুই হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তার সহযোগীকেও এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। পরে টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়ার পথে নুরুল হক ভুট্টো'র মৃত্যু হয়।

যাযাদি/এস