পরিবারের সবাইকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি
প্রকাশ | ২৩ মে ২০২২, ১৫:৩৭
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে একটি পরিবারের আটজনকে অচেতন করে ৫০ হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ উঠেছে। আটজনের মধ্যে ৩জন জনের জ্ঞান ফিরেছে। তাদের বাসায় আনা হয়েছে। বাকি ৫জন এখনো হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
গত শনিবার (২১ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অসুস্থরা হলেন, জিন্নাত আলী তার স্ত্রী ফজিরন বেগম। তাদের ছেলে ও পুত্রবধূ আজিজুল হক, যমুনা বেগম, সজল মিয়া, লাবনী আক্তার, বকুলী আক্তার ও কাজল আক্তার।
এ ঘটনায় বিথী আক্তারকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মো. আজিজুল হক। অভিযুক্ত বিথী ঝিটকা মধ্যপাড়া গ্রামের সায়নাল মিয়ার স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আজিজুল তাঁর স্ত্রীসহ বিথী আক্তারকে নিয়ে নিজের মরিচক্ষেতে যান মরিচ তুলতে। মরিচ তোলা শেষ হওয়ার আগেই বিথী আক্তার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে চলে আসে। কিন্তু সে নিজের বাড়িতে না গিয়ে আজিজুলের বাড়িতে আসে। সন্ধ্যার দিকে বিথী তাদের জিজ্ঞেস করে, তোদের রান্না হয়েছে নাকি? খাবারগুলো আমি ঘরে নিয়ে দেই। বিথী তাদের রান্না করা খাবার ঘরে নিয়ে দেয়। পরে রাত আটটার দিকে বাড়ির সকলে খাবার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আজিজুল ও সজলের জ্ঞান ফিরে। তবে, কাজল আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত বিথী আক্তার তাদের খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগী আজিজুলের চাচাতো ভাই রিপন মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা বাসায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এলাকাবাসীর সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার ও এলাকাবাসীর দাবি, দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক। যাতে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
মুঠোফোনে হরিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. বাছির জানান, গতকাল এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি আজকে সরেজমিনে সেখানে যাচ্ছি। গিয়ে তদন্ত করে, বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিব।
যাযাদি / এসএস