সখিপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের মামলা

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২২, ১৮:০৫

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

 

 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে ৭ বছরের ছাত্রীকে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার শিশুটির মা ওই শিক্ষককে আসামি করে শরীয়তপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন। গত ১৮ মে (বুধবার) ওই ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উলে­খ করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুফতি আক্তার হোসেন (৩৫)। তিনি বর্তমানে শশুর বাড়ি সখিপুর এলাকায় একটি আবাসিক দারুল সুন্নাহ মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ওই মাদ্রাসায় নার্সারী শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শুরু থেকেই ঐ

মাদ্রাসায় ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করে আসছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ মে বেলা ১২ টার দিকে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেয়ার পরে, আক্তার হোসেন নার্সারী শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার ভিতরে তার বিছানায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে বাহিরে থেকে একই শ্রেনীর জুবায়েদ দরজা ধাক্কা দিয়ে হুজুরকে ডাকলে হুজুর ১০ মিনিট পরে দরজা খুলে। শিশুটির পেন্ট ভিজা দেখতে পেয়ে হুজুর জুবায়েরকে বলে ওকে১০ টাকা দিয়ে ক্লাসরুম ঝাড়ু দেয়াইলাম তাই এমন। তোমরা কারো কাছে কিছু বলবা না। পরে শিশুটি জুবায়েদের সঙ্গে বাড়ি চলে যায় ও বিষয়টি জুবায়েদ ও শিশুটির পরিবারকে জানায়।

সরে জমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় আক্তার হোসেন শ্যালক সালাউদ্দিন খান অজ্ঞাত পরিচয়ে সাংবাদিককে ফোন দিয়ে বলেন, আপনারা কেন আসছেন? শিশুকে কেন শুধু, এবার শিশুর মাকেও ধর্ষন করবো আমি!

শিশুটির মা অভিযোগ করেন, বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। মীমাংসার জন্য তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাঁর ভাষ্য, তিনি কোনো ধরনের মীমাংসায় যেতে রাজি নন। এর আগে এই হুজুর দারুল আকরাম মাদ্রাসা থেকে একই ঘটনার দায়ে চাকুরিচ্যুত হন । তিনি প্রচলিত আইনে দোষীর বিচার চান।

মুফতি আক্তার হোসেনকে মাদ্রাসায় না পাওয়া গেলে তিনি মুঠোফোনে ঘটনাটির বিষয় অস্বিকার করে বলেন, আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাসানো হচ্ছে।আমি চাই সত্যি ঘটনা আপনাদের মাধ্যমে উঠে আসবে।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। মাদ্রাসা নিয়ে দুই সমাজের মাঝে দন্দ চলে আসছে। তাই বিষটি চক্রান্ত হতে পারে। মামলার বিষটি আমি জানিনা।আমার কাছে মামলা আসলে বিষয়টির যথাযথ ব্যাবস্থা নিবো।

 

যাযাদি/এসএস