ভাঙ্গুড়ায় রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল পথচারীদের নজর কেড়েছে
প্রকাশ | ২৩ মে ২০২২, ২০:২৬
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান ও কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দিত ফুলের বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিহার্য।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রোপণে বেড়ে ওঠা রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল ভাঙ্গুড়া-তাড়াশ নির্মিত আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী প্রায় সকল যানবাহন যাত্রী ও পথচারীদের নজর কেড়েছে। অতি সম্প্রতি দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই খেলার মাঠের পাশে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের শুরুতে আকাশ আবির রাঙা করে ফোটে কৃষ্ণচূড়া, আর বাতাসে ভাসে তার পাপড়ি।
উপজেলার পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন রাঙা সেই কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য আলো ছড়াচ্ছে। গাছে নয়নাভিরাম রাঙা ফুলের মায়া। গাছের নিচে অজস্র ঝরা পাপড়ি যেন বিছিয়ে পড়ে তৈরি হয়েছে লাল গালিচা। কবির কবিতার মতো মনোলোভা শিক্ষাঙ্গন। বিদ্যালয় চত্বরে গাঢ় লালের বিস্তার যেন বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তরে রক্তিম সূর্যের প্রতীক আর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকারই প্রতিনিধিত্ব করছে।
অনিন্দ্যসুন্দর উপজেলার শতাধিক প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চত্বর যেন এক টুকরো বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি। কৃষ্ণচূড়ার ফুল গন্ধহীন, নমনীয় কোমল, মাঝে লম্বা পরাগ। ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া ফুলের মনোরম দৃশ্য দেখে যে কেউ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেই! উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির চন্দ্র সরকার বলেন, এই কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। ভিনদেশি এই ফুল আমাদের দেশে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। বছরের অন্য সময়ে এ ফুলের দেখা পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-জুন মাসে দৃষ্টিনন্দন এ ফুলটির দেখা মেলে।
সাধারণত বসন্তকালে এই ফুলটি ফুটলেও তা জুন-জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, দৃষ্টিনন্দন ফুলের এ বৃক্ষের সমাহারের সংগ্রহেকর কার্যক্রমের অংশবিশেষ এ ফুলের বৃক্ষটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে রোপণ করা হয়েছিল।
যাযাদি/এস