​​​​​​​ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোঙরের মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অভিযান

২৩ মে তারিখকে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১১টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে নোঙর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ ভূইয়া, জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট অঞ্চল) মনির হোসেন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোঙর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবছরই বর্ষা এলে নৌ-নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় আসে। প্রতিটি নৌ-দূর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন ও বিভিন্ন দপ্তরের দৌড়-ঝাঁপ দেখা গেলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। জেলার কোনো নৌ-ঘাটেই যাত্রী নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ কোনো ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায় না। এমনকি অতিরিক্ত যাত্রী বহনেও কর্তৃপক্ষের তদারকি নেই।

বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী মানুষ নদী নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু এই ভাবনা বা আলোচনাই যথেষ্ট নয়। নদীমাতৃক দেশে নদীতে মানুষ ও সম্পদ বাঁচাতে জাতীয় একটি দিবস ঘোষণা আজ সময়ের দাবি। আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সনের ২৩ মে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা “এমভি লাইটিং সান” ও “এমভি দিগন্ত” মেঘনা নদীতে গভীর রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। সেই ভয়াবহ নৌ-দূর্ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এবং সারা দেশব্যাপী নৌ-নিরাপত্তার বিষয়টিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সকলের নিকট তুলে ধরে গণসচেতনতার লক্ষ্যে ‘নোঙর বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন করে ২৩ মে তারিখকে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

যাযাদি/এস