​​​​​​​কিশোরগঞ্জে সাকার্স প্রদর্শন নিয়ে চিন্তিত এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২২, ১৭:১৫

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি

 

 

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যে সময় চিন্তিত সে সময় একটি সার্কাস প্রদর্শনের আয়োজন তাদের আরো ভাবিয়ে তুলছে। সার্কাসটি প্রদর্শিত হলে  পরিক্ষার প্রস্তুতি  গ্রহণে মারাত্নক ব্যাঘাত ঘটবে বলে জানিয়েছে একাধিক অভিবাবক ও সুশিল সমাজ । নীলফামারীর  কিশোরগঞ্জ উপজেলার  বড়ভিটা ইউনিয়নের টটুয়ার ডাঙ্গায় "দি গ্রেট রওশন সার্কাস"  প্রদর্শনের আয়োজন চলছে জোড়েশোরে।

 

মঙ্গলবার  সরেজমিনে  জানা গেছে, উপেেজেলার টটুয়ার ডাঙ্গায় "দি গ্রেট  রওশন সার্কাস" নামে একটি সার্কাস আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে প্যান্ডেল ঘেরাঘেরি কাজ করছে। এতে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আগামী ১৯ জুন  এসএসসি  ও সমমানের পরিক্ষা শুরু হাওয়ার কথা । এই  মুহূর্তে সার্কাসের কার্যক্রম প্রদর্শন  হলে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহনে মারাত্নক ব্যাঘাত ঘটবে বলে জানিয়েছে অভিভাবক ও সুশিল সমাজের অনেকে।

 

অভিভাবক নীলচান, মহেশ,প্রমদ চন্দ্র রায়,রশনি কান্ত রায়সহ আরো অনেকে জানান- এই মূহুর্তে একলাকায়  সাকার্স প্রদর্শনের আয়োজন করা হলে পরিক্ষায় প্রস্তুতি গ্রহনে মারাত্নক ব্যাঘাত ঘটবে। পরিক্ষার্থীদের পড়াশুনার কথা  চিন্তা করে এই মূহুর্তে  সার্কাস প্রদর্শনের অনুমুতি না দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে  দাবি জানিয়েছে  তারা।

 

বড়ভিটা ইউপি আনসার কমান্ডার  অন্নদা বলেন- পরিক্ষার প্রস্তুতি কালে সার্কাস প্রদর্শিত হলে  এলকার ছাত্র-ছাত্রীরা  পড়াশুনায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে।

 

অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন বসুনিয়া বলেন- আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার আগে সার্কাস প্রদর্শনের আয়োজন কোনভাবে কাম্য নয়। এটা বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছি।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় বলেন - আমি পরিক্ষার ৭/৮দিন আগে সার্কাসের কর্মকান্ড  শেষ করার সুপারিশ করেছি। বাকিটা নির্ভর করবে জেলা প্রশাসনের উপর।

 

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা  নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন - এ  ব্যাপারে আমি অবগত নই । যদি জানানো হয় তখন বিষয়টা ভেবে দেখবো। 

 

 

যাযাদি/এসএস