​​​​​​​আড়াইহাজারে রাস্তা বন্ধ করে শ্রমিক আন্দোলন চতুর্থ দিনে

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২২, ১৭:৪১

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

 

 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মজুরি বৃদ্ধিসহ দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনের দাবীতে

স্থানীয় পাওয়ারলুম শ্রমিকদের আন্দোলন ও বিক্ষোভের আজ চতুর্থ দিন পার হচ্ছে।

মঙ্গলবার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হলে তা বিকেল

পর্যন্ত গড়ায়। এ দিনে এলাকার কয়েক হাজার শ্রমিক একত্রে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে

সব রাস্তার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে বিকেলে গোপালদী  পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঃ বাছেদ, ৫ নং ওয়ার্ড কাউনিাসলর মিশু এবং ৬ নং ওয়ার্ড

কাউন্সিলর শাহ নেওয়াজ মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদেরকে একটি সমঝোতা করিয়েদেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের বালুর মাঠে অবস্থান নেয়।

 

উল্লেখ্য যে, ওই এলাকার পাওয়ারলুম শ্রমিকেরা তাদের কাজের মজুরি বৃদ্ধিসহ

দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনের দাবীতে গত চার দিন ধরে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শণ

করে যাচ্ছে। গোপালদী পৌরসভার সব কয়টি এলাকা এবং বিশনন্দী ইউনিয়নের

গাজীপুরা, দয়াকান্দা বিশনন্দীসহ অন্যান্য এলাকার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভে অংশ

নেয়। চতুর্থ দিনে আন্দোলনে লোক সংখ্যা এবং প্রদক্ষিণকৃত এলাকার ব্যাপ্তি

বেড়েছে। এর আগে গত শনিবার সকাল থেকে এ আন্দোলনের সূচনা হয়।

 

বিক্ষোভরত শ্রমিকরো জানায়, মালিক পক্ষের প্রতি তাদের দাবী ছিল প্রতি গজ

গ্রে কাপড়ে এক টাকা করে মজুরি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সরকারের প্রতি তাদের

দাবী ছিল দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রন করার। এ দাবী মানা না হলে তারা আন্দোলন

চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। আন্দোলনরত এক শ্রমিক বলেন, ‘মালিকদের

প্রতি আমরা অনুরোধ করেছিলাম যাতে প্রতি গজ কাপড়ে এক টাকা করে মজুরী

বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে তারা রাজি হচ্ছে না। তারা উল্টো প্রতিষ্ঠান বন্ধ

করে দিয়েছে। এতে আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমরা যে হারে মজুরি

পাচ্ছি তাতে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য

প্রতিদিন যে ভাবে হু হু করে বাড়ছে এতে আমরা পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরব।

বিক্ষোভকারী অপর এক শ্রমিক বলেন, বর্তমানে আমরা পরিবার নিয়ে খেয়ে না

খেয়ে বেঁচে আছি। এর ওপর আবার বিভিন্ন অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের

সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি আমাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আমরা কিস্তি

পরিশোধ করব নাকি সংসার চালাবো। তারা বলেন, টানা তিন দিনের অন্দোলনের ফলে মালিকপক্ষ কোন সমাধানে না যাওয়ায় আমরা আজ চতুর্থ দিনেও আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

 

গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 

যাযাদি/এসএস