আমদানি বন্ধের ১৮ দিন পর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবারও পেঁয়াজ আমিদানি শুরু হলো। সোমবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৯টায় ৪২টি রেলওয়াগনে ১২’শ ৮২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।
জানা যায়, গত ৫ মে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় পেঁয়াজের এই চালানটি ভারতের রানাঘাট জংশনে এসে আটকে যায়। এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টার প্রাইজ আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইেেকার্টে রিট করেন। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে পেঁয়াজ পঁচনশীল পন্য হওয়ায় গত ১৯ মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ পেঁয়াজের চালানটি দর্শনা বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকার আদেশ দেন। এরপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগ নিরোধ ছাড়পত্রের আদেশ দেন। তবে এ পেঁয়াজের চালানটি দর্শনা বন্দরে ঢুকলে জটিলতা তৈরী হয়। ইনভয়েসে ১০৮৬ মেট্রিক টন আমদানির পরিমান উল্লেখ থাকলেও আরো ১৯৬ মেট্রিক টন বেশি এসছে এ চালানে । বিষয়টি গোপন সংবাদে জানতে পেরে বাংলাদেশ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর এর কমিশনার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম পাঠান। এরপর এ পেঁয়াজের চালানটি যথাযথ পর্যবেক্ষন করে জরিমানাসহ শুল্কায়নের আদেশ দেন।
দর্শনা বন্দরের উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কর্মকর্তা কৃষিবীদ মনিরুজ্জামান বলেন, “ উদ্ভিদ সংগ নিরোধ উইং খামারবাড়ি ঢাকা’র পরিচালক মহোদয়ের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ পেঁয়াজের সংগ নিরোধ সনদ অর্থ্যাৎ কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।”
এ পেঁয়াজ খালাসে নিযুক্ত দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ফিজা এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ রায়হান জানান, চাঁপাই নবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টার প্রাইজ ১২’শ ৮২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। প্রতিটন পেঁয়াজের ইনভয়েস মুল্য ৩১০ ডলার।
দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর লিয়াকত আলী জানান, আমদানি করা পেঁয়াজ যশোর নওয়াপাড়ায় বুকিং নিয়েছে আমদানিকারক। পেঁয়াজের এই রেকটি (৪২ওয়াগন) বর্তমানে বন্দর ইয়ার্ডে রাখা আছে। সবকিছু ক্লিয়ারেন্স পেলে যথাযথ রেলভাড়া পরিশোধের পর ছাড় দেয়া হবে।
যাযাদি/এস