টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহা সড়কে পৌরসভার একাংশের, (এর মধ্যে টেকনাফ পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়া হতে শাপলা চত্বর পর্যন্ত) মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সড়ক পুনঃসংস্কার না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে যাত্রী সাধারণ জানান। এই সড়কে কক্সবাজার লিংকরোড হয়ে উংচিপ্রাং পর্যন্ত সড়ক প্রসস্থ করে নির্মাণ হলেও কিন্তু পৌরসভার শাপলা চত্বর পর্যন্ত এই সড়ক এখনো পুনঃসংস্কার হয়নি। এর কারণে সড়কে বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।
কোথাও কোথাও ছোট হলেও আবার অনেকাংশে পুকুর পরিমাণ খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা আরম্ভ হতে না হতেই এই খন্দক গুলোতে পানি জমে পুকুরের মতো হয়েছে।গাড়ির চালকগণ এই সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির চাকা যখন ঐ খন্দকের মধ্যে পড়ে ছোট ছোট যানবাহন উল্টে যায় এবং গাড়িতে থাকা যাত্রীগণ দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে মারাত্মক আহত হয়।
যে আহত গুলো প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালো হলেও কিন্তু বয়োবৃদ্ধ লোকেরা মারাত্মক আহত হয়ে জীবনের পঙ্গুত্ব বরণ করে অকালে মৃত্যুবরণ করে।
এ ছাড়া বড় বড় যানবাহন ও উক্ত গর্তে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এতে যেমনী যাত্রীরা আহত হচ্ছে তেমনি গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে পড়ছে। এই সড়ক এতোই যে গুরুত্বপূর্ণ যে টেকনাফ উপজেলার উৎপাদিত পণ্য পান,সুপারি,লবন, সামুদ্রিক মাছ এবং টেকনাফ স্থলবন্দরের পণ্য বুঝায় ট্রাক এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়ত করে থাকে।
এর পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলা তিন লক্ষ অধিবাসীসহ মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা যানবাহন যোগে এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করে। এর পাশাপাশি প্রতি বছর শীত মৌসুম শুরু হলে পর্যটকদের স্বপ্নের দ্বীপ সেন্টমার্টিন দেখার জন্য দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক এই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অত্যাচারে ১২ লাখের ও অধিক রোহিঙ্গা নাগরিক বাস্তচ্যুত হয়ে উখিয়াও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরা বাংলাদেশে আসার পর তাদের মালামাল, ক্যাম্প স্থাপনের বাঁশ,খুঁটি ইত্যাদি যানবাহন যোগে এই সড়ক দিয়ে বহন করায় সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এরা আসার পাঁচ বছর গত হলেও এই সড়ক নির্মাণের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন ইঙ্গিত নেই।ফলে সড়কটির পৌরসভার পুরাতন বাসষ্টেশনের জামে মসজিদের সামনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে কোন যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চালাচল করতে গেলে যাত্রী সাধারণের আল্লাহর নাম স্বরণ করতে হয়। কেননা যে কোন মুহুর্তে গাড়ি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে যাত্রীরা নিহত হতে পারে। এই সংস্কার বিষয়ে দীর্ঘ দিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় লেখা লিখি হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন টনক নড়েনি।
এই বিষয়ে সড়কও জনপথ বিভাগের টেকনাফে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী কিটত্ব চাকমা জানান আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এই সড়কের পুনঃসংস্কার কাজ শুরু হবে।
যাযাদি/এস
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd