নেত্রকোনার বারহাট্টা গত দুইদিন ধরে পাহাড়ী ঢলের তীব্রতা হ্রাস ও ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ী ও রাস্তা-ঘাটে এখনও পানি রয়েছে। এসব এলাকার নিম্নআয়ের মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। আক্রান্ত লোকজনদের প্রতিদিনই ত্রাণ সরবরাহ করছে প্রশাসন।

সেই চিনি এতিমখানায়

সোমবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাসেম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. মাজহারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার সানজিদা চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লুৎফুল হক, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী, রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজুকে বন্যা-উপদ্রুত মানুষনদের কাছে খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিতে দেখা যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রায় আড়াই হাজার মানুষ উপজেলার সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী বন্যায় প্রায় ৫৫ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা তাদের কাছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত ৭ মেট্রিক টন চল ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ কার্য অব্যাহত আছে।

যাযাদি/এস