ভেড়ামারায় কোরবানির হাট কাঁপাতে তৈরি খাঁন বাহাদুর
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২২, ১২:৪২
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কোরবানির হাট কাঁপাতে তৈরি খাঁন বাহাদুর। খাঁন বাহাদুর নাম শুনলেই মনে হবে এলাকার প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি। কিন্তু এটি আসলে কোন মানুষের নাম নয়। এটি বিশাল আকৃতির একটি কোরবানির গরুর নাম। এবারের ঈদে কোরবানির হাট কাঁপাবে এই খাঁন বাহাদুর। ৬ ফুট উচ্চতার সাড়ে নয় ফুট লম্বা গরুটির স্কেলে ওজন করা হয়েছে। যার ওজন প্রায় ২৫ মণ। মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা।
ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের বৃত্তিপাড়া (ঘোড়েশা মাজারের পাশে) এলাকার প্রান্তিক জহির উদ্দিন খাঁনের ছেলে খামারি মাহাবুব আলম। দীর্ঘ চার বছর ধরে গরুটি নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে বড় করেছেন। আদর করে গরুটি’র নাম দিয়েছেন খাঁন বাহাদুর। সুঠাম দেহের অধিকারী সুউচ্চ এই গরুটিকে কোরবানির হাটে জন্য প্রস্তত। প্রতিনিয়ত উৎসুক মানুষ খাঁন বাহাদুরকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন গরুটির মালিক কৃষক মাহাবুব আলমের বাড়িতে। প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা এলাকার সেরা খামারি হিসেবেও।
গরুটির মালিক মাহাবুব আলম জানান, গত ৪ বছর ধরে গরুটিকে ঘাস, খোল, ভুসি, কলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি খাইয়ে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে লালন-পালন করে নিজ সন্তানের মত বড় করে তুলেছি। খাঁন বাহাদুর বড় করতে অনেক টাকা ঋণী হয়ে পড়েছেন তিনি। ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই তাকে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবানির হাটে যে সমস্ত গরু উঠছে তার মধ্যে খাঁন বাহাদুর এখনও সেরা সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু। ইতিমধ্যে খাঁন বাহাদুর গরুটি’র দাম ১০ লাখ টাকা দাম বলেছে। ১৩ লাখ টাকা হলে খাঁন বাহাদুর কে বিক্রি করে দিবো। হলিস্টিন ফিজিয়ান প্রজাতির গরুটি ছোটাছুটি আর চঞ্চলতার কারণে খান বাড়ির খাঁন পদবি যুক্ত করে নাম রাখা হয় খাঁন বাহাদুর।
স্থানীয় হাসান জানান, এ গ্রামের সবাই খাঁন বাহাদুরকে চেনে। প্রতিদিন মানুষজন বিশাল এ গরুটি দেখতে আসেন। মাহাবুব অনেক টাকা গরুর পেছনে খরচ করেছে। গরুটি উপযুক্ত দামে বিক্রি হোক এটা আমরাও চাই।
ভেড়ামারা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাইরান ইকবাল বলেন, এই ভেড়ামারা উপজেলায় পশু স্বাস্থ্য সম্মতভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা। প্রাণীসম্পাদ অফিস তাদের নানাভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত উৎসুক মানুষ খাঁন বাহাদুরকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন গরুটির মালিক কৃষক মাহাবুব আলমের বাড়িতে। গরুটি দেখতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমরাও গিয়েছিলাম। গরুটির মালিক স্বাস্থ্য সম্মতভাবে লালন-পালন করে গরুটিকে বড় করে তুলেছেন।
যাযাদি/এস