উত্তরায় এখনো জমেনি কোরবানীর পশুর হাট

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২২, ২০:৩৪

জয়নব পারভীন, তুরাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৭নং সেক্টর বৃন্দাবন কুরবানীর পশুর হাটে এখনো চলছে খুঁটি বসানোর কাজ। পশু বেচাকেনার দিন পাঁচকে সামনে রেখে খুঁটিসহ তাবু নির্মাণের কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। আর তাই হাটের কিছু কিছু অংশে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই খুঁটি গেড়ে গরু রাখার ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। ঈদের আর মাত্র অল্প কয়দিন বাকী থাকলেও এখনো জমে উঠেনি হাটটি। হাটের অধিকাংশ জায়গাই খালি পড়ে আছে। ক্রেতা উপস্থিতিও কম। ব্যবসায়ীরা বলছে আগের তুলনায় এবারের হাট জমজমাট হতে সময় লাগছে।


হাট তত্বাবধায়নে নিয়োজিতরা জানায়, দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের পশ্চিম দিক থেকে শুরু করে ১৭নং সেক্টর ও বউ বাজার লেকের পাড় পর্যন্ত বৃন্দাবন পশুর হাটের সীমানা। গরু-ছাগল রাখার জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। হাটজুড়ে বসানো হয়েছে ১৪টি হাসিল ঘর।


৪ জুলা্ই সোমবার দুপুরে ১৭নং সেক্টর বৃন্দাবন হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে ব্যবসায়ীরা হাটের একাংশে খুঁটি বসিয়ে তাবু তৈরি করে নিচ্ছে। নাটোর থেকে গরু নিয়ে আসা ইব্রাহিম নামের এক ব্যবসায়ী জানায়, আমরা গরু বাধার লাগি জায়গা করতেছি। হাটের লোকজন বাঁশখুটি রাখি গেছে। যারা তাম্বু (তাবু) নিছে তাগো টাকা লাগছে। আমরা নিজেরাই তাম্বু বানায়া নিচ্ছি।’ হাটের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের মতো অনেককেই কোদাল-সাবল নিয়ে গরু রাখার উপযোগী পরিবেশ তৈরির কাজ করতে দেখা গেছে।


তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হাট চালু হয়নি বলে ব্যবসায়ীদের কিছুটা সমস্যা পেতে হচ্ছে বলে জানায় হাট কর্তৃপক্ষ। বৃন্দবন পশুর হাটের ইজারাদার নূর হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, ‘যাদের প্রয়োজন হচ্ছে তারা নিজেরাই খুুঁটি বসিয়ে তাবু করে নিচ্ছে। আমাদের হাটে ব্যবসায়ীদের জন্য সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’


হাট ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য প্রবেশস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল নোট সনাক্তকরণ কক্ষ ও পৃথক ৩টি স্থানে ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও হাটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে হাট কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ করতে দেখা গেছে।


এদিকে, হাট জমতে দেরি হওয়া ও গরুর দাম এবং বেচাবিক্রি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছে হাটে আসা গরু ব্যবসায়ীরা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে এই হাটে গরু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী কেশু জানায়, ‘হাট এখনো জমে উঠেনি। বেচাকেনা নাই। হাটে এইবার গরু কম কম লাগছে। মানুষও নাই।’ নওগাঁর নেয়ামতপুরের গরু বিক্রেতা শামীম জানায়, হাটের অবস্থা কিছু বুঝতেছি না। গরুর দামও উঠতেছে না। আশি হাজারের গরু চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার কয়। এই দামে তো আমরা কিনতেও পাইনা।’ বৃন্দাবন পশুর হাটে এই প্রথম ঝিনাইদহ থেকে পাবনা জাতের গরু নিয়ে আসা  মুনছের আলী জানায়, ভূসির দাম বাড়তি। গ্রাহকরা গেলবারের মতো সস্তার আশায় এইবারও বইস্যি থাকে তাইলে ক্ষতি হওয়ার লক্ষণ আছে। গরুর খাবারের দাম অনেক বেশি।’

 

যাযাদি/এস